কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার খাগড়াগড় বিস্ফোরণের অন্যতম পাণ্ডা আবদুল হামিককে জেরা করে গোয়েন্দারা দুই দেশের সীমান্তের সচরাচর ব্যবহার হয় না এমন ৩৫টি চোরাপথের তথ্য জানতে পেরেছে, যা দিয়ে জঙ্গিরা চোরাচালান, অনুপ্রবেশ, অস্ত্র ও জালনোট সরবরাহের কাজ চালাতো।
সূত্রের খবর, জেরায় আবদুল হাকিম জানিয়েছে, গত ৩ বছরে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা, মণিপুর, মেঘালয়সহ সীমান্তের মোট ৩৫টি চোরাপথ ব্যবহার করেছে জঙ্গিরা।
এরমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার ও সুন্দরবনের জলপথ দিয়ে বর্ধমান বিস্ফোরণকাণ্ডের আগে জঙ্গি আনাগোনা কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছিল বলেও হাকিম জেরায় স্বীকার করেছে।
উপকূলের ঢিলেঢালা নজরদারি এবং রাজ্যগুলির স্থানীয় দুস্কৃতকারীদের একাংশের সহযোগিতায় জঙ্গিরা পরিচয় গোপন করে ভারতে প্রবেশ করে। পরে স্থানীয় প্রভাবশালীদের মোটা টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ঘর ভাড়া থেকে শুরু করে বৈধ পরিচয়পত্র সংগ্রহও করেছেন অনেকে।
বর্ধমান বিস্ফোরণে আহত হাকিমকে নিজেদের হেফাজতে পাওয়ার পর জেরা শুরু করে গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, এই জেরার জন্য ৫ জন গোয়েন্দা কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে।
খাগড়াগড় বিস্ফোরণের খুঁটিনাটি বিষয়েও হাকিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
গোয়েন্দারা জানার চেষ্টা করছেন, কোথায় কোথায় বিস্ফোরক তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হত এবং দম্পতি মডিউলে এ রাজ্যে জঙ্গি কার্যকলাপ কীভাবে বাড়বাড়ন্ত হল।
জিজ্ঞাসাবাদে হাকিম ধীরে ধীরে মুখ খুলছে বলে গোয়েন্দা সূত্রের খবর।
জেএমবি’র সঙ্গে কীভাবে হাকিম জড়িয়ে পড়ল এবং তার সঙ্গে আর কারা কারা জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত রয়েছে তা জানার চেষ্টার পাশাপাশি বিস্ফোরণের ঘটনায় পলাতক কওসরের খোঁজ জানারও চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৪