কলকাতা: প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ভারতজুড়ে পেঁয়াজের মূল্য লাগামহীন। দেশটির বাজারে পেঁয়াজের জোগান বহাল রাখতে চলতি বছরের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে রপ্তানি বন্ধ করা হয়েছে।
এবার তাই পেঁয়াজ ও আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে বাড়তি উদ্যোগ নিল কেন্দ্রীয় সরকার। একইসঙ্গে পেঁয়াজের বীজ রপ্তানির ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করল দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। নেদারল্যান্ডস, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইরানের মতো দেশগুলো ভারতীয় পেঁয়াজের বীজ আমদানি করে থাকে। কিন্তু দেশীয় বাজারকে গুরুত্ব দিতে বাণিজ্যের পথ থেকে আপাতত সরে আসছে মোদী সরকার। তাই পেঁয়াজের বীজ রপ্তানির ওপর জারি করা হলো নিষেধাজ্ঞা।
পাশাপাশি পেঁয়াজের আমদানিও বাড়ানো হচ্ছে বলে শুক্রবার জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় খাদ্য ও গণবণ্টনমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। তিনি বলেন, মিশর, তুরষ্ক এবং আফগানিস্তান থেকে সাত হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ ভারতে আমদানি করা হয়েছে। এরই পাশাপাশি উৎসবের মৌসুমে অর্থাৎ দীপাবলির আগেই আরও ২৫ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ ভারতে এসে যাবে।
ফলে কয়েকদিন আগেও পেঁয়াজের দাম যেভাবে কেজি প্রতি ১০০ রুপি ছুঁয়েছিল, এখন তা হবে না। খোলা বাজারে ৬০ থেকে ৬৫ রুপি দরে পেঁয়াজ পাওয়া যাবে বলেই মনে করেছেন মন্ত্রী। এছাড়া বিদেশি পেঁয়াজের পাশাপাশি নতুন ফসল বাজারে এসে গেলে ধীরে ধীরে দাম আরও কমবে বলেই আশা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। মুলত নভেম্বর থেকেই মহারাষ্ট্রে নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করে।
এছাড়া আলুর ক্ষেত্রেও একই উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে ভুটান থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে আগামী তিন মাসের মধ্যে ১০ লাখ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হবে বলেই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় খাদ্য ও গণবণ্টন মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২০
ভিএস/এমএমএস