কলকাতা: নন্দীগ্রামে পরাজিত হওয়ার পর ভবানীপুর থেকে উপনির্বাচনে জিতলেই কেবল মুখ্যমন্ত্রিত্ব টেকাতে পারবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতীয় সংবিধানে ছিল এমন নিয়ম।
কিন্তু ভবানীপুরের তৃণমূল কর্মীরা প্রথম থেকেই বলে আসছিলেন, মমতার জয় নিয়ে তাদের কোনো সন্দেহ নেই। তবে দেখার বিষয় কত ব্যবধানে জয়ী হন তিনি।
সেই প্রত্যাশা অনুযায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেকর্ড ভোটে জয়ী হলেন। এই উপনির্বাচনের মধ্যে দিয়ে নিজের আগের রেকর্ড ভেঙে দিলেন মমতা। ভোট পেলেন ১ লাখ ১৭ হাজারেরও বেশি। আর জয়ী হয়েছেন ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটে।
২০১১ সালে যখন প্রথম পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হন, তখন এই ভবানীপুর থেকে ৫৪ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। এরপর ২০১৬ এই কেন্দ্র থেকে জয় পেয়েছিলেন ২৫ হাজার ভোট। ফলে শতকরার হিসেবে মমতা পেলেন ৮০ শতাংশের বেশি ভোট।
বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল ভোট পেয়েছেন ২৬ হাজার ৩২০ ভোট এবং বামপ্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস পেয়েছেন ৪ হাজার ২০১ ভোট।
চলতি বছরের এপ্রিলে হয়ে যাওয়া পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে এই ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছিলেন বর্তমান কৃষিমন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। তখন এই কেন্দ্র থেকে শোভন জিতেছিলেন ২৭ হাজার ৮০০ ভোটে। সেখানে উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর কেন্দ্র থেকে পদত্যাগ করেন শোভন। এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখানে প্রার্থী হন।
তৃণমূল নেতাকর্মীদের মুখে এখন স্লোগান ‘ভি ফর ভিক্টরি/ ভি ফর ভবানীপুর/ ভি ফর ভারত। ’ অর্থাৎ এই উপনির্বাচনে জয়ের পর মমতার জন্য পশ্চিমবঙ্গের মসনদ যেমন শক্তিশালী হলো, তেমনি দিল্লির দিকে এক ধাপ এগোলেন তিনি।
২০২৪ সালে পরবর্তী লোকসভা নির্বাচন। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর অন্যতম দাবিদার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সে কারণেই নরেন্দ্র মোদির বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে কয়েক মাস ধরে একত্রিত করছিলেন মমতা। এই উপনির্বাচন যেমন বাড়তি শক্তি দিল মমতাকে, তেমনি বাড়তি অক্সিজেন যোগান দিল মোদিবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে।
আরও পড়ুন:
ভবানীপুরে জয়, মমতাই থাকছেন মুখ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩, ২০২১
ভিএস/জেএইচটি