ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

দিল্লি, কলকাতা, আগরতলা

ত্রিপুরায় নতুন করে ৩০ হাজার হেক্টর রাবার বাগান করা হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০২২
ত্রিপুরায় নতুন করে ৩০ হাজার হেক্টর রাবার বাগান করা হবে

আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরা রাজ্যে ধানের পর সর্বাধিক যা চাষ হচ্ছে তা হলো প্রাকৃতিক রাবার। আরো ব্যাপকভাবে রাবার চাষের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার।

প্রাকৃতিক রাবার উৎপাদনে ভারতের মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে দক্ষিণের রাজ্য কেরালা এবং দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতের ত্রিপুরা।

বর্তমানে ত্রিপুরা রাজ্যে প্রায় ৮৭ হাজার হেক্টর জমিতে রাবার বাগান রয়েছে। এই বাগানগুলি থেকে প্রতি বছর গড়ে ৯০ হাজার ৭১২ মেট্রিক টন রাবার উৎপাদিত হয়। এই চাষের সঙ্গে যুক্ত আছেন প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার জন মানুষ বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন ত্রিপুরা সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের মন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব। এদের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশই হচ্ছেন জনজাতি অংশের মানুষ।

রাজ্যে উৎপাদিত তরল রাবার থেকে সিট তৈরি করে রপ্তানি করা হয়। রাজ্যের উৎপাদিত রাবার রপ্তানি বাণিজ্যের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে ১ হাজার ৩৬৩ জন যুক্ত রয়েছেন।  

২০১৮-১৯ অর্থ বছরে রাজ্যে ৭৪ হাজার ১৩৯ মেট্রিক টন রাবার উৎপাদিত হয়েছে, যা থেকে আয় হয়েছে ৮৮৯ কোটি রুপি। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে রাজ্য থেকে ৮৩ হাজার ৭০১ মেট্রিক টন রাবার উৎপাদন করে আয় হয়েছে ১ হাজার চার কোটি রুপি এবং ২০২০-২১ অর্থ বছরে রাজ্য থেকে ৯০ হাজার ৭১২ মেট্রিকটন রাবার বিক্রি করে আয় হয়েছে ১ হাজার ২৭০ কোটি রুপি।

বর্তমানে ত্রিপুরার উৎপাদিত সাধারণ মানের এক কেজি রাবার ১৫৬ রুপি এবং ভালো মানের রাবার প্রতি কেজি ১৬৬ রুপি দামে বিক্রি হচ্ছে। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে রাজ্যে আরও ৩০ হাজার হেক্টর জায়গাতে নতুন করে রাবার বাগান গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। এর জন্য মুখ্যমন্ত্রীর আবার মিশন পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব।

এই কাজের জন্য পাঁচ বছরে ৬২৪ কোটি রুপি বরাদ্দ করা হয়েছে। সম্প্রতি রাজ্যে বেশ কয়েকটি রাবার ভিত্তিক শিল্প ইউনিট স্থাপিত হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০২২
এসসিএন/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।