শতাধিক পণ্য ও সেবাতে ভ্যাট-সম্পূরক কর বসানোর ফলে পণ্যের দাম বাড়বে। এর ফলে মানুষের জীবনযাপন কঠিন হবে বলে মন্তব্য করছেন ফরেন ইনভেস্টর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ফিকি)।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ফিকির এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন।
ফিকি বলছে, ভ্যাট হার ৫% থেকে ৭.৫% বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে শিল্পগুলো ক্ষতি কমানোর জন্য পণ্যের মূল্য বাড়াতে বাধ্য হবে। এতে করে খুচরা ক্রয়ে সাধারণ ভোক্তারা মূল্যবৃদ্ধির চাপে পড়বেন। এতে, ভোক্তার ক্রয়ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাবে, যার ফলে সরকার একটি বৃহৎ অংকের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে। তাই, ভ্যাট-করের উচ্চ হার আরোপ করে রাজস্ব বৃদ্ধি করার কৌশলটি অকার্যকর প্রমাণিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শুল্ক-কর বৃদ্ধি সংক্রান্ত প্রধান উদ্বেগের ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে ফিকি বলছে, প্রোকিউরমেন্ট প্রোভাইডার সেবায় ভ্যাট ৭.৫% থেকে বাড়িয়ে ১৫% এবং মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণে ১০% থেকে ১৫% এবং পরিবহন ঠিকাদারের ১০% থেকে ১৫% এবং রেস্টুরেন্টে সেবার ক্ষেত্রে ৫% থেকে ১৫% করা হয়েছে। এর ফলে ভোক্তা পর্যায়ে দামের প্রভাব পড়বে।
পর্যাপ্ত গবেষণা বা অংশীজনদের সাথে আলোচনা ছাড়াই নীতি প্রণয়ন বিনিয়োগকারীদের আস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং ভবিষ্যতে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের ধারাকে বাধাগ্রস্ত করবে। পাশাপাশি, গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা সংশোধনের আগে অংশীজনদের সাথে আলোচনা না করার বিষয়টি দেশীয় এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে নেতিবাচক বার্তা দেবে।
রাজস্বও বৃদ্ধিতে ফিকির বিকল্প প্রস্তাবসমূহ:
সরকারকে এমন কৌশল প্রণয়ন করা উচিত, যা শিল্পগুলোর বিক্রয় থেকে পাওয়া আয় বৃদ্ধি করবে এবং এর মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জাতীয় কর রাজস্বও বৃদ্ধি পাবে। সরকারের উচিত ভ্যাট আইনের মৌলিক নীতি বজায় রাখা। একক ভ্যাট হার অনুসরণ করলে, যদি ১০০% ইনপুট ভ্যাট পুনরুদ্ধারযোগ্য হয়, তবে ভ্যাট হার ১৫% বৃদ্ধি করলেও এর প্রভাব ন্যূনতম হবে। ইনপুট ক্রেডিট মেকানিজমটি অন্যান্য দেশগুলোর মতো সহজ করা উচিত, যাতে সমস্ত এসএমই এবং খুচরা বিক্রেতারা তাদের ক্রয়ের উপর ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট সহজেই নিতে পারেন, মূল্য ঘোষণা বা জটিল ভ্যাট বই পরিচালনার প্রয়োজন না পড়ে। সরকারের উচিত সকল আর্থিক লেনদেন সহজ ডিজিটাইজেশন পদ্ধতির মাধ্যমে ট্র্যাক করার উপর গুরুত্বারোপ করা।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫,২০২৪
জেডএ/এমএম