ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের প্রতীক

কাওছার হোসেন, জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১২
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের প্রতীক

বরিশাল: ‘বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়’ দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের প্রত্যাশা ও স্বপ্নের প্রতীক।

চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি বরিশাল জিলা স্কুলের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শুরু হয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়যাত্রা।



এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ও চলতি শিক্ষা বর্ষে (২০১১-২০১২) চারটি অনুষদে ছয়টি বিষয়ে ৪শ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত।

আগামী শিক্ষাবর্ষে (২০১২-২০১৩) আরও একটি অনুষদ ও চারটি বিভাগে পাঠদান শুরু হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে।

এতে করে সব মিলিয়ে ৫টি অনুষদে ১০টি বিভাগে প্রায় ৭শ শিক্ষার্থী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সুযোগ পাবেন।

আগামী ২ ও ৩ নভেম্বর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১২-২০১৩ শিক্ষা বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে, ১ সেপ্টেম্বর থেকে ভর্তি ফরম বিতরণ শুরু হয়েছে। চলবে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালের শিক্ষার্থীদের পাঠদানের প্রসঙ্গে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর রশীদ খান বাংলানিউজকে জানান, “বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস হবে বিশেষ জ্ঞানার্জনের বিদ্যাপীঠ। ”

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ইতিহাস: দক্ষিণাঞ্চলের সুবিধা বঞ্চিত ভবিষ্যত প্রজন্মকে সুশিক্ষিত হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বরিশালে একটি সতন্ত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘদিন আন্দোলন সংগ্রাম করেছে এ অঞ্চলের মানুষ।

এ আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ২০০৩ সালে নগরীর ২৭নং ওয়ার্ড ডেফুলিয়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান নামে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয় তৎকালীন বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকার।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেখানে একটি অস্থায়ী ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। কিন্তু ওই এলাকায় জমির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালের জন্য নগরীর উপকণ্ঠ গড়িয়ারপাড় এলাকায় পুনরায় জমি নির্ধারণ করা হয়।

তবে, শেষ পর্যন্ত নানা আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় অনেকটাই নিভে যায় দক্ষিণাঞ্চলবাসীর স্বপ্নের প্রদীপ।

এর কারণে আবারও আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দেয় এ অঞ্চলের মানুষ। এরই প্রেক্ষিতে বরিশালে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য ২০০৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (একনেক) এর অনুমোদন দেয়।

২০০৯ সালের ২৮ মার্চে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক অনুমোদন দেওয়া হয়। একই সঙ্গে জিওবি ফান্ডের আওতায় ৯ কোটি ৫০ লাখ টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।

২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়। পরে অবশ্য মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে।

এদিকে, ২০১০ সালে ১৮ ফেব্রুয়ারি বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর রশীদ খানকে প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

এছাড়া বরিশাল জিলা স্কুল ক্যাম্পাসে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির জন্য নির্মিত তিন তলা ভবনের নিচ তলা প্রকল্পের অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে তিন তলা ভবনে পুরোটাই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

অপরদিকে, ২০১০ সালের ১৬ জুন জাতীয় সংসদে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম সংশোধন করে করা হয় ‘বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়’।

২০০৯ সালের ২৮ অক্টোবর শিক্ষামন্ত্রী নরুল ইসলাম নাহিদ সরজমিনে বরিশাল সদর উপজেলার কীর্তণখোলা নদীর তীরবর্তী কর্ণকাঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের স্থান জমি নির্ধারণ করেন। ২০১১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্ণকাঠিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

তবে, ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হলেও স্থায়ী ঠিকানা ছাড়া পাঠদান কার্যক্রম শুরু করতে রাজি হননি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে আত্মহুতি দেওয়াসহ নানা কর্মসূচি ঘোষণা করেন বরিশালের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, মুক্তিযোদ্ধা ও সুশিল সমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ।

এরই প্রেক্ষিতে, ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য ২০১১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত ভর্তি ফরম বিতরণ করা হয়।

শিক্ষামন্ত্রী নরুল ইসলাম নাহিদ ওই দিন ঢাকায় অবস্থিত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনলাইনে ভর্তির আবেদনপত্র গ্রহণ করেন। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী মোবাইলের এসএমএসের মাধ্যমে রাশেদুল ইসলাম নামে এক ছাত্রের পাঠানো আবেদন গ্রহণ করে ভর্তি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।  

এর পরে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এদের মধ্যে মেধাতালিকার মাধ্যমে উত্তীর্ণ ৪শ শিক্ষার্থীকে নিয়ে ২০১২ সালের ২৪ জানুয়ারি শুরু হয় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পথচলা।

ওই দিন নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে বেলুন ও পায়রা ওড়িয়ে শোভাযাত্রার সূচনা করেন শিক্ষামন্ত্রী নরুল ইসলাম নাহিদ।

পাঠদান: বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ব্যাচে চারটি অনুষদে ছয়টি বিভাগে ৪শ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে। অনুষদগুলো হলো- বিজ্ঞান, কলা, সামাজিক বিজ্ঞান ও বিজনেস ষ্টাডিজ। বিভাগগুলো হলো- গণিত, সমাজ বিজ্ঞান, অর্থনীতি, মার্কেটিং, ব্যবস্থাপনা ও ইংরেজি।

এর মধ্যে মার্কেটিং ব্যবস্থাপনা বিভাগে ৭০ জন করে এবং ইংরেজি, সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি ও গণিত বিভাগে ৬৫ জন করে শিক্ষার্থী পাঠ গ্রহণ করছেন।

এদিকে, দ্বিতীয় ব্যাচ তথা ২০১২-২০১৩ শিক্ষাবর্ষে নতুন একটি অনুষদ ও চারটি বিভাগ খোলা হয়েছে।

নতুন অনুষদ দুটি হলো, জীববিজ্ঞান ও কৃষি। বিভাগ চারটি হলো- হিসাববিজ্ঞান, লোক প্রশাসন, বাংলা এবং এ্যানভায়রনমেন্ট সায়েন্স।

নতুন এ বিষয়ে প্রায় ৩শ শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবেন। পর্যায়ক্রমে আরও ৮০ থেকে ৯০টি বিভাগ খোলা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

অসুবিধা: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রধান সমস্যা হলো স্থান সংকট। অস্থায়ী কার্যালয়ে চলছে দাপ্তরিক ও পাঠদানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম। রয়েছে ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের আবাসন সংকট। অস্থায়ী ভবনে কক্ষ সংকটের কারণে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদ অনুযায়ী পৃথক কক্ষ বরাদ্ধ নেই। একটি কক্ষে চলছে একাধিক শাখার দাপ্তরিক কাজ।

এছাড়া শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য কোনো পরিবহন ব্যবস্থাও নেই। এমন অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।

স্থায়ী ক্যাম্পাস: ২০১৩ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে কীর্তনখোলা নদীর তীরে কর্ণকাঠীতে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী ক্যাম্পাসে পূর্ণাঙ্গ অবকাঠামোয় একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করার আশা প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার ও ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. বাহাউদ্দিন গোলাপ।

তিনি বাংলানিউজকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কর্ণকাঠীতে ৫০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সেখানে দুটি ছাত্রাবাস ও একটি ছাত্রীনিবাস নির্মাণের জন্য দরপত্র শেষ হয়েছে।

তিনি আরও জানান, স্থায়ী ক্যাম্পাসে প্রাথমিকভাবে ৪টি ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। ৪টি ভবন নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে দুটি একাডেমিক ভবন এবং দুটি প্রশাসনিক ভবন।

শিক্ষক ও জনবল: আগের ছয়টি বিষয়ের জন্য ২০ জন শিক্ষক রয়েছে। আরও নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন আছে। এছাড়া অন্যান্য পদে রয়েছে প্রায় ৮০ জন। আগামী বছরের শুরুতে আরও জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে।

স্বজনপ্রীতি: নতুন এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২ জন নিকট আত্মীয়কে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর রশীদ খান। উপাচার্যের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ অনেক আগে থেকেই।

কিন্তু অভিযোগ অস্বীকারও করেননি তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপাচার্যের ছোটবোন আলেয়া বেগম কুক পদে চাকরি করছেন। চাচাতো বোন সানজিদা সুলতানা ও মামাতো বোন লুৎফর নাহার সেকশন অফিসার পদে কর্মরত আছেন।

সৎ ভাই আজাদ ও জলিল চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী পদে রয়েছেন। আপন বড়বোন মনোয়ারা বেগমের এক ছেলে সাইদুজ্জামান বাচ্চুকে উপাচার্যের একান্ত সহকারী সচিব (প্রকল্প) এবং আরেক ছেলে মো. মনিরুজ্জামানকে স্টোরকিপার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

উপাচার্যের আপন ছোটবোন জাহানারা বেগমের মেয়ে নুসরাত জাহান নুপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিভাগে কর্মরত। আরেক ভাগ্নে মো. ইউনুস চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী পদে রয়েছেন। উপাচার্যের কাছের আত্মীয় তোফায়েল আহম্মেদ উপাচার্যের গাড়িচালক পদে এবং মো. মিলন সেকশন অফিসার পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

রাজনীতি: এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চাইলেই যে কোনো রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারবেন। তবে, শিক্ষকদের ব্যাপারে রয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ। তারা প্রকাশ্যে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন না।

বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট: ২০১১ সালে ২৯ জুন প্রথম সিন্ডিকেট কমিটি গঠন করা হয়। ওই বছরের ৯ জুলাই সিন্ডিকেটের প্রথম সভার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করা হয়।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর রশীদ খান ছাড়াও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট কমিটিতে রয়েছেন শিক্ষাবিদ প্রফেসর মো. হানিফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি ডা. হারুন-অর রশীদ, ড. আখতারুজ্জামান, বিএম কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি আ. মালেক, এএস মাহমুদ, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার নূরুল আমিন ও বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. বিমল কৃষ্ণ মজুমদার।

এ পর্যন্ত সিন্ডিকেট কমিটির ১০টি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভাগুলোতে নানা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য ড. হারুন- অর রশীদ খান বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে তার পরিকল্পনার কথা ব্যক্ত করে বাংলানিউজকে বলেন, ‘অবস্থানগত কারণে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস হবে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে আকর্ষণীয় ক্যাম্পাস। ’

‘একদিকে, শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়, অপরদিকে নিকটবর্তী দুর্গাপুরে স্থাপিত হবে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ। কীর্তনখোলা নদীর অপর প্রান্তে স্থাপিত হবে মেরিন একাডেমি। ’
 
‘ফলে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস হবে বিশেষ জ্ঞানার্জনের বিদ্যাপীঠ। ’

কৃষি ও মৎস্যভিত্তিক অঞ্চল হিসেবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এগ্রিকালচার ও ফিশারি অনুষদ খোলার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে ভিসি বলেন, ‘দেশি-বিদেশি উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে নেটওয়ার্কিং সৃষ্টির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের সুযোগ করে দেওয়া হবে। ’

‘মেধা অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা এ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাবে। এখানে কোনো লবিং তদবির হবে না। তাই সব মিলিয়ে আগামী ১০ বছরের মধ্যে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়া সম্ভাবনার কথা জানান ভিসি। ’

আত্মীয়দের নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে উপাচার্য হারুন-অর রশীদ খান বলেন, ‘কোথায়ও লেখা নেই যে যোগ্যতা থাকা সত্বেও আত্মীয় স্বজন নিয়োগ দেওয়া যাবে না। তারা তাদের মেধা ও যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পেয়েছেন। এখানে আমার কোনো হস্তক্ষেপ ছিল না। ’

‘শূন্যপদের বিপরীতে নিয়ম মেনেই নিয়োগ কমিটি তাদের নিয়োগ দিয়েছে। `

পাঠক আগামীকাল মঙ্গলবার পড়ুন বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজের প্রতিবেদন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১২
সম্পাদনা: মাহাবুর আলম সোহাগ, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।