ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষকদের অবস্থান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২৪
এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে শিক্ষকদের অবস্থান

ঢাকা: এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষকদের চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের ব্যানারে তারা এই অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষক নেতারা বলেন, গত ২ সেপ্টেম্বর শিক্ষক নেতাদের ১০ জনের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে তারা এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণসহ শিক্ষা সংস্কারের একটি লিখিত প্রস্তাব উপদেষ্টার হাতে তুলে দেন। উপদেষ্টা খুব আন্তরিকতার সঙ্গে শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণের ব্যবস্থা নিবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে সন্তোষজনক সাড়া পাওয়া যায়নি।

বৈষম্যহীন শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিতে এপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ এখন সময়ের দাবি বলে জানান তারা।

এ সময় তারা আরো ৯ দফা দাবি জানান। সেগুলো হলো-

০১। শতভাগ উৎসব ভাতা, জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ এর আওতায় বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা প্রদান এবং গ্রেড বৈষম্য নিরসন।

০২। জোর পূর্বক পদত্যাগ করানো প্রতিষ্ঠান প্রধান, সহ-প্রধান, সহকারী শিক্ষক এবং প্রভাষকগণের পদত্যাগ পত্র অবৈধ ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারিসহ যোগদানের ব্যবস্থা করতে হবে।

০৩। সহকারী শিক্ষকদের প্রারম্ভিক বেতন গ্রেড সরকারি স্কুলের ন্যায় ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ, সহকারী প্রধান শিক্ষকদের বেতন ৭ গ্রেডে ও প্রধান শিক্ষকদের বেতন ৬ষ্ঠ গ্রেডে উন্নীতকরণ এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক, প্রধান শিক্ষক, উপাধ্যক্ষ, অধ্যক্ষগণকে চাকুরি জীবনে দুটি উচ্চতর গ্রেড প্রদান করতে হবে।

০৪। সর্বজনীন বদলির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

০৫। মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষকদের যুগোপযোগী সংস্কারসহ কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষদের বেতন ৩য় গ্রেডে এবং উপাধ্যক্ষদের বেতন ৪র্থ গ্রেডে উন্নীতকরণ এবং স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকদের এমপিওভুক্তিসহ জাতীয়করণ ও শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির আওতায় আনতে হবে।

০৬। কলেজ শিক্ষকদের অনুপাত প্রথা বাতিলসহ জ্যেষ্ঠ প্রভাষকের স্থলে সহকারী অধ্যাপক পদটি পুনঃপ্রতিস্থাপন, ডিগ্রি ও অনার্স কলেজের ৩য় শিক্ষকের এমপিওভুক্তিকরণ, ডিগ্রি ও মাস্টার্স কলেজের অধ্যক্ষগণকে ৩য় গ্রেডে এবং উপাধ্যক্ষগণকে ৪র্থ গ্রেডে বেতনের ব্যবস্থাকরণ, কলেজের প্রদর্শকগণ উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করলে তাদেরকে প্রভাষক পদে পদায়ন এবং স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষগণকে ৪র্থ গ্রেডে বেতনের ব্যবস্থা করতে হবে।

০৭। স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করতে হবে।

০৮। কর্মচারীগণ উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করলে তাদেরকে পরবর্তী পদে পদায়নের ব্যবস্থা করতে হবে।

০৯। মাধ্যমিক ডিজি আলাদাকরণপূর্বক এমপিওভুক্ত শিক্ষকদেরকে শিক্ষা প্রশাসনে আনুপাতিক হারে পদায়নের ব্যবস্থা করতে হবে।

আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সরকার এসব দাবি পূরণ না করলে জোটের পরবর্তী সভায় সিদ্ধান্তগ্রহণপূর্বক ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি পালনসহ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান ও অনশন কর্মসূচি পালনের হুঁশিয়ারিও দেন তারা।

এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সমন্বয়ক অধ্যক্ষ মো. মাইন উদ্দীনের সভাপতিত্বে অবস্থান কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন মো. জহিরুল ইসলাম, মো. আবুল বাশার, মো. নূরুল আলম খান, অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী, মো. মুজিবুর রহমান বাবুল, জসিম উদ্দিন আহম্মেদ, দুলাল চন্দ্র চৌধুরী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২৪
এসসি/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।