ঢাকা: স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষককে ৮৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
অনাদায়ে তাকে আরো ছয়মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
এই শিক্ষকের নাম ওমর ফারুক। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষক ও জামায়াত-বিএনপি সমর্থিত শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের সক্রিয় সদস্য। এছাড়া স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর কাবিননামার টাকা পরিশোধ নিয়েও প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পরে মামলা করে কাবিননামার টাকা তুলেছেন তার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী।
মামলার রায়ের কপি ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালে সৈয়দা ফারজানা ইয়াসমিন নামে এক নারীকে বিয়ে করেন ওমর ফারুক। পরে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় ২০১০ আগস্টে তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়।
কিন্তু কাবিন নামার টাকা ও শিশু সন্তানের ভরণ-পোষণের টাকা না দেওয়ায় ২০১১ সালের এপ্রিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকদের উপস্থিতিতে একটি সমঝোতা হয়।
সভায় তাদের শিশু সন্তানকে (তখন এক বছর বয়স) ওই মাসের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ভরণ-পোষণ বাবদ মোট ৮৪ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্তের পর ওই টাকার পরিমাণ একটি ভুয়া ‘চেক’ দেন ওমর ফারুক।
পরে টাকা না পেয়ে ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) কোর্টে বাদী হয়ে মামলা করেন ফারজানা।
ফারজানা সাংবাদিকদের জানান, সমঝোতার শর্তানুযায়ী সন্তানের পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত ভরণ-পোষণের খরচ প্রতি মাসে তিন হাজার ৫০০, ছয় থেকে ১০ বছর বয়স পর্যন্ত ছয় হাজার ও ১০ থেকে ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত আট হাজার টাকা দেওয়ার কথা। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো টাকাই দেননি ফারুক। কাবিননামার টাকাও নিতে হয়েছে মামলা করে।
সম্প্রতি, এ মামলার রায় দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের (আদালত-৩) বিচারক মো. গোলাম ফারুক।
রায়ের পর এ বিষয়ে দণ্ডপ্রাপ্ত শিক্ষক ওমর ফারুক বলেন, রায়ের পরই আদালতে টাকা দেওয়া হয়েছে। আর সন্তানের ভরণ-পোষণের টাকা প্রতি মাসেই দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী সে আমার শিশু সন্তানকে প্রতি দুই মাস অন্তর অন্তর দেখভাল করে না।
ভুয়া চেক প্রদানের ব্যাপারে তিনি বলেন, চেক প্রদানের পর ব্যাংকে তা বাতিল হয়ে যায়। পরে আদালতের মাধ্যমে তা পরিশোধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৪