ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল

‘শতভাগ উপস্থিতিই ভালো ফলাফল’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৪
‘শতভাগ উপস্থিতিই ভালো ফলাফল’ ছবি : নাজমুল হাসান / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: শিক্ষকদের আন্তরিকতা ও  শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপস্থিতির কারণে ভালো ফলাফল সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. শহীদুল্লাহ।
 
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) প্রকাশিত পিএসসি পরীক্ষা ২০১৪ সালে তৃতীয়বারের মতো সারাদেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করায় বাংলানিউজের কাছে এ অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন তিনি।



রাজধানীর ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল ২০১২-১৪ তিনবছর প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা (পিএসসি) দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে।
 
প্রধান শিক্ষক শহীদুল্লাহ বলেন,‘ এ স্কুলের শিক্ষকরা খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে পাঠদান করান বলে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলমুখী। শতভাগ উপস্থিতির কারণে এ অর্জন ধরে রাখতে পেরেছি। ’
 
তিনি বলেন,‘ শতভাগ উপস্থিতির জন্য গতবছর দুই হাজার শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট (সম্মাননা) দেওয়া হয়েছে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা স্কুলগামী। ’
 
তিনি বলেন,‘ গণিত ও ইংরেজি বিষয়ে ডাবল পাঠদান করানো হয়। ফলে শিক্ষার্থীরা বাসার চেয়ে শ্রেণিকক্ষে প্রায় পড়া শেষ করে। ’
 
সৃজনশীলতা বিষয়ে প্রধান শিক্ষক বলেন,‘ গাইড বইয়ের পরিবর্তে সম্পূর্ণ বোর্ড বই পড়ানো হয়েছে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা সৃজনশীল যেকোন প্রশ্নে খুবই পারদর্শী। শিক্ষকদের সৃজনশীল বিষয়ে স্পেশাল প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ’
 
আগামিতে প্রথম হওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করে শহীদুল্লাহ বলেন,‘ প্রথম না হওয়ার ক্ষেত্রে এবারের ফলাফল বিশ্লেষণ করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবো।
 
যাতে আগামিতে আমরাই প্রথম হতে পারি। তবে স্কুল এ অর্জনের ক্ষেত্রে শিক্ষক-অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের অবদানের কথা স্বীকার করেন তিনি। ’
 
জিপিএ-৫ পাওয়া ছাত্র সামিউল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন,‘ এ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা খুবই আন্তরিক বলে বাসার চেয়ে শ্রেণিকক্ষেই বেশিরভাগ পড়া শেষ হয়। ’
 
সামিউল বলেন,‘ সৃজনশীল প্রশ্নে শিক্ষকরা বোর্ড বইকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছেন। ফলে ভালো ফলাফল। তবে শিক্ষকদের চেয়ে তার মা-বাবার অবদানও বেশি বলে জানায় সামিউল। ’
 
জিপিএ-৫ পাওয়া ছাত্রী সামিয়া সুলতানা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বাংলানিউজকে বলেন,‘ খুবই নাভার্স ছিলাম। কিন্তু জিপিএ-৫ পেয়ে সে শঙ্কা কেটে গেছে। ’
 
সামিয়া জানায়,‘ শিক্ষকরা মা-বাবার চেয়েও বেশি আদর করে পড়াশোনা করাত। ফলে বাসার চেয়ে শ্রেণিকক্ষে বেশি সময় থাকতাম। তবে ভালো ফলাফলের ক্ষেত্রে মা-বাবার খুবই কষ্ট করেছে বলে জানাই সে। ’
 
ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, ২০১৪ সালে পরীক্ষা দিয়েছে ১ হাজার ৫১১ জন। শতভাগ পাস করেছে।
 
এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৪০৩ জন। জিপিএ-৪ পেয়েছে ৯৬ জন, ৩.৫ পেয়েছে ৯ জন ও জিপিএ-৩ পেয়েছে ৩ জন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।