ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

উচ্চশিক্ষায় ব্যতিক্রম আইইউবিএটি

শিক্ষা ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২২ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৯
উচ্চশিক্ষায় ব্যতিক্রম আইইউবিএটি আইইউবিএটি ক্যাম্পাসের ছবি

ঢাকা: বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় একজন শিক্ষার্থীকে সবচেয়ে কঠিন বাধা অতিক্রম করতে হয় এইচএসসি পাস করার পর উচ্চশিক্ষার প্রবেশ মুখে। দীর্ঘ ১২ বছরের লালিত স্বপ্ন বাস্তবে রূপ পাবে কি পাবে না, তা নির্ধারিত হয় এ পর্বে।

তাছাড়া ভবিষ্যতের উজ্জ্বল ক্যারিয়ার এ সময়ের নির্ভুল সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করে। এসব কারণে বহু শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকরা বিভিন্ন দুশ্চিন্তায় পড়ে যান এইচএসসি পরবর্তী সময়ে।

 

বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে দ্রুত বিকাশমান বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভূমিকা ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পারা অনেক ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির সুযোগ দিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের মেধা-মনন বিকাশের সুযোগ করে দিয়েছে এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির জন্য যোগ্য নাগরিক তৈরিতে অবদান রাখছে।

দেশের প্রথম সারির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মধ্যে অন্যতম সেরা  আইইউবিএটি। আইইউবিএটি’র যাত্রা শুরু হয়ে ১৯৯১ সালে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ও আইবিএ এর সাবেক পরিচালক এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়য়ের পথিকৃৎ  প্রফেসর ড. এম আলিমউল্যা মিয়ান এ প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা। আইইউবিএটি’র সার্বিক লক্ষ্য হচ্ছে উপযুক্ত শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও দিক নির্দেশনার মাধ্যমে মানবসম্পদ উন্নয়ন ও জ্ঞান চর্চার মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করা।

আইইউবিএটি’র স্থায়ী ক্যাম্পাস উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরে। যেখানে গেলে দেখা যাবে ১৭ বিঘা জমির ওপর সুবিশাল ক্যাম্পাস। সেখানে প্রায় সাত হাজার ছাত্র-ছাত্রী বিভিন্ন বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। আশার কথা যে বর্তমানে আইইউবিএটি-তে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে এশিয়া এবং আফ্রিকা মহাদেশের ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা করছেন। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়টি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি ক্রমেই উজ্জ্বল করছে।  

তাদের জন্য ৬০ জন পিএইচডিসহ পূর্ণকালীন শিক্ষক আছেন তিন শতাধিক। আইইউবিএটি ঢাকায় অবস্থিত একমাত্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে আছে খেলার মাঠ, শহীদ মিনার। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের প্রাকটিক্যাল ও গবেষণার জন্য আছে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা।  

আইইউবিএটি’র প্রত্যয় হলো, ‘যোগ্যতাসম্পন্ন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য উচ্চশিক্ষার নিশ্চয়তা- প্রয়োজনে মেধাবি তবে অসচ্ছলদের অর্থায়ন’। মেধাবি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বৃত্তির সুযোগ দিচ্ছে আইইউবিএটি।  

শিক্ষার্থীদের আনা-নেওয়ার জন্য ক্যাম্পাস থেকে নিজস্ব বাস চলাচল করে। প্রতিদিন এক ঘণ্টা পরপর শাটল সার্ভিসের মাধ্যমে ক্যাম্পাসের আশপাশের এলাকা থেকে শিক্ষার্থীদের আনা-নেওয়া করা হয়। আর ঢাকা সিটি করপোরেশন, সাভার, গাজীপুর এবং নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রতিদিন সকাল ৭টায় ক্যাম্পাসের উদ্দেশে বাসগুলো ছেড়ে আসে এবং বিকেল সাড়ে ৫টায় ক্যাম্পাস থেকে নির্দিষ্ট গন্তব্যে ছেড়ে যায়। এজন্য শিক্ষার্থীদের কোনো টাকা পয়সা দিতে হয় না।  

স্কলারশিপ, অনুদান, বেতন মওকুফ, শিক্ষাকালীন কর্মসংস্থান এবং শিক্ষা ঋণের মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
 
এই ক্যাম্পাসে ছয়টি অনুষদের অধীনে নয়টি বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি দেওয়া হয়। স্নাতক পর্যায়ে বিবিএ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইকোনমিকস, অ্যাগ্রিকালচার, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট এবং নার্সিং এবং মাস্টার্স পর্যায়ে এমবিএ বিষয়ে পড়ানো হয়।

আইইউবিএটি-তে ভর্তির জন্য অনলাইনে  অথবা  সরাসরি আবেদন করা যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইটের (www.iubat.edu/admission) মাধ্যমে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করা যাবে। এছাড়াও আইইউবিএটি’র  স্থায়ী ক্যাম্পাস ঢাকার উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি অফিসেও সরাসরি ভর্তির প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে।  

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।