বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিক এক বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কারের তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- শহীদ সালাম বরকত হলের আবাসিক ছাত্র হারুন অর রশিদ, মুহাম্মদ মাহাবুবুল আলম, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের এনামুল হক তামিম, মওলানা ভাসানী হলের মো. রাইসুল ইসলাম রাজু, তাওসিফ আব্দুল্লাহ, সালগ্না রেমা, জাকির হোসেন জীবন, মো. মাহাবুবুল আলম, খালেদা জিয়া হলের সারা বিনতে সালাহ, সায়মা লিমা ও ফারিহা বিনতে হক।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৯ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। র্যাগিংয়ের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকায় ১১ শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া র্যাগিংয়ের শিকার হওয়া সত্ত্বেও সিনিয়রদের সেভ করার উদ্দেশ্যে একযোগে যুক্তি করে অতিরঞ্জিত, অসত্য ও ভুল তথ্য পরিবেশনের অভিযোগে দুই শিক্ষার্থীকে সতর্ক করা হয়েছে।
সতর্ক করা দুই শিক্ষার্থী হলো সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের ৪৮তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মো. নাইম হাসান ও আল ইমরান হোসেন তালুকদার।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এবছর যে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হয়েছে তার পরিপন্থি কাজ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশৃঙ্খলা অধ্যাদেশের সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাদের অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনা করে এ শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
১৫ তারিখ রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের আচরণ (ম্যানার) শেখানোর নামে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। একাধিক জুনিয়রকে তারা অকথ্য ভাষায় গলিগালাজ ও কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখে। এমনকি হাত পা মুড়িয়ে (ব্যাঙের আকৃতিতে) বসিয়ে রাখা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৯
এএ