রোববার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের আয়োজনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, সামাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী) ও সাংস্কৃতিক জোটের নেতারা।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘যেকোনো ধরনের ভিন্নমত থাকলেই সে ব্যক্তিকে রাষ্ট্র তার আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে হয়রানি করছে। বর্তমানে যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে তা আমাদের বাকস্বাধীনতাকে রুদ্ধ করেছে। এ আইনে নিরাপত্তার নামে আমাদের কথা বলার অধিকারকে হরণ করা হয়েছে। এ আইন আমাদের সংবিধানেরও পরিপন্থি। ’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়ন সংসদের সভাপতি মিখা পিরেগু বলেন, বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষতার নিরিখে গড়ে উঠেছে। সাম্প্রদায়িক শক্তিকে পরাজিত করে রক্তের বিনিময়ে আমরা এ স্বাধীনতা পেয়েছি। সাম্প্রদায়িক শক্তির সাথে আপোষ করেছে এ সরকার। বর্তমানে সাংস্কৃতিক কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের জন্য দেশের অবস্থা অনিরাপদ। মুক্তবুদ্ধির চর্চা ও বাকস্বাধীনতায় আঘাত আনতে পারে এমন সমাজ ব্যবস্থা আমাদের কখনোই কাম্য ছিল না।
সংহতি জানিয়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী) বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাহাথির মোহাম্মদ বলেন, এ সরকার নিজেকে মৌলবাদী সরকারে রূপান্তরিত করছে। সাম্প্রদায়িক শক্তির উপর ভর করে অসাম্প্রদায়িকতার মুখোশ পড়ে এ সরকার শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে নষ্ট করতে করতে চাচ্ছে।
মানববন্ধনে ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের দপ্তর সম্পাদক আতাউল হক চৌধুরীর সঞ্চালনায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রকিবুল হক রনি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক শোভন রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২০
এবি