ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম পরিচায়ক স্থাপনা। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সম্মিলন ও সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র হিসবে এর রয়েছে ঐতিহ্যবাহী ইতিহাস।
সম্প্রতি টিএসসিতে বহুতল ভবন নির্মাণের চিন্তা করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। কিন্তু টিএসসিতে বহুতল ভবন হবে নাকি, সংস্কার হবে এ বিষয়ে কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, টিএসসির বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে জানুয়ারিতে গণপূর্ত অধিদপ্তরের সঙ্গে আমাদের সভা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, টিএসসি সংস্কারের আলোচনা উঠেছে বিভিন্ন সময়ে। ২০১৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নান্দনিকতা ধরে রাখতে আগের অবকাঠামো ঠিক রেখে একটি ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করে। বর্তমান সুইমিং পুলের (বন্ধ) জায়গায় পাঁচতলা ভবনের জন্য চূড়ান্ত নকশা করে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সরকারের কাছে অর্থ সংগ্রহের জন্য পাঠানো হয়।
কিন্তু প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রী টিএসসির জন্য পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা করতে গণপূর্ত অধিদপ্তরকে দায়িত্ব দেন। পরবর্তীসময়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা টিএসসি পরিদর্শন করেন। এ বিষয়ে তারা জানুয়ারিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আবুল কালাম সিকদার বাংলানিউজকে বলেন, টিএসসি নিয়ে এখনো বৈঠক হয়নি। এটি গণপূর্ত অধিদপ্তর দেখছে।
জানা যায়, ১৯৬১ সালে ক্ষুদ্র পরিসরে টিএসসির কার্যক্রম শুরু হয়। পরে গ্রিসের বিশ্বখ্যাত নকশাকারী প্রতিষ্ঠান ডকসিয়াডিস অ্যাসোসিয়েটস কনসালট্যান্ট লিমিটেডের নকশা ও পরিকল্পনা অনুযায়ী ৩ দশমিক ৭০ একর জায়গায় টিএসসি কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার ও যুক্তরাষ্ট্রের ফোর্ড ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহযোগিতায় কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষ হয় ১৯৬৬ সালে। টিএসসির পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরু হয় মূলত ১৯৬৭-৬৮ শিক্ষাবর্ষে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২০
এসকেবি/এএ