ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ইনোভেশন কম্পিটিশনের পুরস্কার বিতরণ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ইনোভেশন কম্পিটিশনের পুরস্কার বিতরণ

খুলনা: বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে উদ্যোক্তা গড়ে ওঠাকে উৎসাহিত করা এবং উদ্যোক্তা উন্নয়নে এ অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সক্ষমতা তৈরির উদ্দেশ্যে একটি প্রকল্প চলমান রয়েছে।

ইউরোপিয়ান কমিশনের ইরোসমাস প্লাস কর্মসূচির অধীনে এমইএলবিইউ (মোর ইন্টারপ্রিনিউরিয়াল লাইফ ইন বাংলাদেশি ইউনিভার্সিটিজ) শীর্ষক এ প্রকল্প চলমান।

এই প্রকল্পের অধীনে সম্প্রতি আঞ্চলিক ইনোভেশন প্লান কম্পিটিশন আয়োজন করা হয়। মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ কম্পিটিশনের পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের তরুণ শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও উদ্ভাবনী ভাবনা নিয়ে কাজ করা একটি চমৎকার উদ্যোগ। এর ফলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে নতুন উদ্যোক্তা ও ধারণা বের হয়ে আসবে, যা সামাজিক, ব্যবসায়িক, শিল্পসহ নানাবিধ উন্নয়নে অবদান রাখবে। তিনি প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের এবং অংশগ্রহণকারীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

প্রকল্পের সমন্বয়কারী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. মোঃ নূর-উন-নবীর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন প্রকল্পের অন্যতম সমন্বয়কারী জার্মানীর লাইপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. উটজ ডোম্বার্গার।

আরও বক্তব্য রাখেন কুয়েটের প্রফেসর ড. মো. নুরুন্নবী মোল্লা। এছাড়া ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন প্রকল্পের সদস্য খুবির বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. মুরছালিন বিল্লাহ। এসময় প্রকল্পের সদস্য খুবির ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলামসহ প্রকল্পভুক্ত অন্য ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর (কুয়েট, যবিপ্রবি, বশেমুরবিপ্রবি, নর্দান ও নর্থ ওয়েস্টার্ন) প্রতিনিধিবৃরা উপস্থিত ছিলেন।

পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন দলকে একটি ক্রেস্ট ও ১ লাখ টাকার মূল্যমানের প্রাইজমানি, প্রথম রানার আপ দলকে ৬০ হাজার টাকা এবং দ্বিতীয় রানার আপ দলকে ৪০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজমানি প্রদান করা হয়। এই প্রতিযোগিতায় ৫৩টি দল অংশ নেয়। এর মধ্যে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) চ্যাম্পিয়ান, প্রথম রানার আপ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও দ্বিতীয় রানার আপ হয় কুয়েট।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১
এমআরএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।