ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

রাবিতে ১৪১ জনের নিয়োগ নিয়মবহির্ভূত: তদন্ত কমিটির প্রধান

রাবি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৯ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২১
রাবিতে ১৪১ জনের নিয়োগ নিয়মবহির্ভূত: তদন্ত কমিটির প্রধান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

রাবি: মেয়াদের শেষ দিনে ক্যাম্পাস ত্যাগের আগে অ্যাডহকে ১৪১ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান। বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের নিয়োগের ওপর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা উপেক্ষা করেই গণনিয়োগ দিয়েছেন তিনি।

 

এই গণনিয়োগকে নিয়মবহির্ভূত বলে মন্তব্য করছেন তদন্ত কমিটির প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক মু. মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন।  

গত ৬ মে গণনিয়োগের বিষয়ে তদন্ত করতে শিক্ষামন্ত্রণালয় ৪ সদস্যসের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়।

তদন্ত কমিটির প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক মু. আলমগীর হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এর আগে উপাচার্যের কর্মকাণ্ড নিয়ে তদন্ত হয়েছে। সেই তদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক পরিপত্রে সব ধরনের নিয়োগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর উপাচার্য সেই সময়ে চলমান সব নিয়োগ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তার মানে উনি সেই পরিপত্র মেনে নিয়েছিলেন। তাহলে তিনি হঠাৎ করে কীভাবে আবার তার কার্যদিবসের শেষ দিনে এতজনকে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ করেন? তিনি সম্পূর্ণরূপে অবৈধ এবং নিয়মবহির্ভূত কাজ করেছেন।  

তিনি আরও বলেন, ২০০৯ সালে বাংলাদেশ সরকার সবকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী বা অ্যাডহক নিয়োগ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিয়েছে। কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি সুনির্দিষ্ট পদ থাকে এবং সেই পদের বিপরীতে যদি অনুমোদন থাকে, সেখানে অর্থ বরাদ্দ থাকে, তাহলে উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সেই পদে নিয়োগ দেওয়া যাবে। সেই নিষেধাজ্ঞা না মেনে অবৈধভাবে অধ্যাপক আবদুস সোবহান নিয়োগ দিয়েছেন।

তদন্ত রিপোর্টের বিষয়ে তিনি বলেন, তদন্ত এখনও চলমান আছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।

এর আগে, গত ৬ মে উপাচার্য হিসেবে শেষ কার্যদিবস পালন করেন অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান। মেয়াদের শেষ দিনেই অ্যাডহকে নিয়োগ দেন ১৩৮ জনকে। এর মধ্যে শিক্ষক পদে ৯ জন, কর্মকর্তা পদে ২৩ জন, তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী পদে ৮৫ জন, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী পদে ২৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সন্তান, স্ত্রী ও স্বজন, ছাত্রলীগের সাবেক-বর্তমান নেতাকর্মী ও সাংবাদিক রয়েছেন।

বিতর্কিত এই নিয়োগকে অবৈধ উল্লেখ করে সেদিন সন্ধ্যায় একটা তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তদন্ত কমিটিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মু. আলমগীর হোসেন। তার সঙ্গে রয়েছেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. মো. জাকির হোসেন আখন্দ ও ইউজিসির পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।