খুলনা: মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশের দল ‘মহাকাশ’।
‘মহাকাশ’ দলটি গঠিত হয়েছে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) চারজন এবং নাটোরের বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজির (বাউয়েট) দুজন শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে।
১৬০টিরও বেশি দেশ থেকে ৪ হাজার ৫০০টির বেশি দলের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ‘মহাকাশ’ দলটি নাসার স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের ‘বেস্ট মিশন কনসেপ্ট’ ক্যাটাগরিতে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়া এই দলটিতে কুয়েট শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৫তম ব্যাচের সুমিত চন্দ, লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৫তম ব্যাচের আলভী রওনক, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের সামির ইমতিয়াজ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭তম ব্যাচের শিশির কৈরী অংশ নেন।
বিজয়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে কুয়েটের উপাচার্য কাজী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) আওতাধীন ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির ল্যায়ন প্রতিবেদনে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে কুয়েট। বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, ‘মহাকাশ’ দলের উদ্ভাবিত টুলস ‘অ্যাডভান্সড রিগোলিথ স্যাম্পলার সিস্টেম (এআরএসএস)’ মূলত মহাকাশচারীরা ভিনগ্রহের পৃষ্ঠে অভিযানের সময় মুক্তভাবে উড়তে থাকা ধূলিকণা নিয়ন্ত্রণের কাজ করতে পারবে। চাঁদে বিগত মানব মিশনগুলোতে মহাকাশচারীরা পৃষ্ঠতলে উপস্থিত ধূলিকণার মধ্যে কাজ করতে সমস্যার সম্মুখীন হন বলে অভিযোগ করে আসছিলেন। কম গ্র্যাভিটিতে মূলত ধূলিকণাগুলো সহজেই উৎক্ষিপ্ত হয়ে ভাসতে থাকে।
ফলে নমুনা সংগ্রহ করতে অসুবিধা হতো মহাকাশচারীদের। একই সঙ্গে মহাজাগতিক রেডিয়েশনের কারণে আয়নিত হওয়ায় তা স্পেস স্যুটের গায়ে লেগে থেকে স্যুট ড্যামেজ করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করত। ‘মহাকাশ’ দল এই সমস্যার কার্যকর একটি সমাধান বের করে একটি টুল সেট উদ্ভাবন করে, যেটি এই ধূলিকণাকে আবদ্ধ চেম্বারে আটকে ফেলে এবং ধূলিকণাকে ভেসে থাকার মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে দেয় না।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২১
এমআরএম/জেএইচটি