ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

নিবন্ধন ঝুঁকিতে গণঅধিকার পরিষদ

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৭ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২৩
নিবন্ধন ঝুঁকিতে গণঅধিকার পরিষদ গণঅধিকার পরিষদ

ঢাকা: অনেকটা তীরে এসেই তরী ডুবার মতো অবস্থায় পড়েছে নতুন রাজনৈতিক দল গণঅধিকার পরিষদ।

দলটির শীর্ষ দুই নেতৃত্বের টানাপোড়েনের কারণে নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে নিবন্ধন পাওয়াও এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।



ইসির নিবন্ধন সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাছাই করা দলগুলোর মধ্যে এই দলটির নিবন্ধন পাওয়ার ক্ষেত্রে দৌড়ে এগিয়ে ছিল। কেবল মাত্র প্রধান কার্যালয় ও কমিটির সবগুলো কিছু ঠিকঠাক থাকলেই মোটামুটি সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে যেতো।

কিন্তু সাম্প্রতিক দুই শীর্ষ নেতার রেষারেষিতে এখন গণ অধিকার পরিষদ কার, সেটাই বুঝতে পারছে না ইসি। এক্ষেত্রে সোমবার (১০ জুলাই) দলের কেন্দ্রীয় কমিটি ও কার্যালয় সম্পর্কে খোঁজ নিতে যাওয়ার কথা ছিল ইসি কর্মকর্তাদের। তবে নুরুল হক নুর ইসির সংশ্লিষ্ট কমিটিকে ফোন করে জানিয়েছেন দলের কাউন্সিলের জন্য পর্যবেক্ষণের সময় পেছাতে। এক্ষেত্রে মঙ্গলবার (১১ জুলাই) কমিটি কার্যালয়ের খোঁজ নিতে যাবে।

অন্যদিকে রেজা কিবরিয়া দুই দফায় ইসিকে লিখিত আকারে জানিয়েছে, তার নেতৃত্বাধীন দলই মূল গণ অধিকার পরিষদ। এছাড়া নুরুল বিদেশিদের সহায়তা নেওয়ার অভিযোগ করেছেন।

নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দলটি তীরে এসে তরী ডোবাচ্ছে। কেননা, একাধিক ব্যক্তি যদি দলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক দাবি করেন, তবে দলের অস্তিত্ব নিয়েই প্রশ্ন ওঠে। আমাদের তদন্ত কমিটি মাঠে গিয়ে এই পরিস্থিতি তুলে আনলে নিবন্ধন আটকে যেতে পারে।

এছাড়া বিদেশি সহায়তায় কোনো দল গঠন করা যাবে না বলে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে স্পষ্ট করে বলা আছে। এক্ষেত্রে নিবন্ধন পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যাচ্ছে।
১ জুলাই ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর গণঅধিকার পরিষদ থেকে আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়াকে বাদ দিয়ে ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক করেন রাশেদ খানকে। তার পাল্টাপাল্টি রেজা কিবরিয়ার গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব পদে নুরুল হক নুরকে সরিয়ে নেন হাসান আল মামুনকে। এরপর রেজা কিবরিয়া ৩ জুলাই প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে এক চিঠিতে দলটির নানা ঘটনাবলি তুলে ধরেন।

এ অবস্থায় নুর ও রেজা কিবরিয়া দুইজনকেই ১০ জুলাই কার্যালয় পর্যবেক্ষণের কথা ইসি থেকে জানানো হয়। এতে দু’জন ফের মৌখিক ও লিখিত আকারে যোগাযোগ করেন ইসির সঙ্গে। নুরের অনুরোধে একদিন পিছিয়েও দেয় ইসি।

সোমবার (১০ জুলাই) রাতে নুরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কাউন্সিলে নুরুল হক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাশেদ খান নির্বাচিত হয়েছেন।

এ বিষয়ে ইসির তদন্ত কমিটির প্রধান ও আইন শাখার উপসচিব আব্দুছ সালাম বলেন, আমরা মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বিকেল ৩টায় সরেজমিন যাচাই করতে যাবো। নিবন্ধনের আবেদনের সঙ্গে তারা যা তথ্য দিয়েছিল, তা ঠিক আছে কি না, সেসব দেখেই প্রতিবেদন দেওয়া হবে। এরপর নিবন্ধন সিদ্ধান্ত দেবে কমিশন।

বাংলাদেশ সময়: ২২১৯ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২৩
ইইউডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।