ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

চমককে নিষিদ্ধের দাবি নির্মাতাদের

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২৩
চমককে নিষিদ্ধের দাবি নির্মাতাদের রুকাইয়া জাহান চমক

সম্প্রতি ‘শ্বশুরবাড়িতে প্রথম দিন’ নামের একটি নাটকের শুটিং সেটে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে ছোট পর্দার অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমকের নামে। এরপর সহকর্মী অভিনেতা আরশ খানের নামে অভিযোগ তোলেন এই অভিনেত্রী।

থানা-পুলিশ পর্যন্ত গড়ায় ঘটনাটি। এ ঘটনার বিচার চেয়ে আরশের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ ও সাধারণ ডায়েরি করেন চমক।

রোববার (১৩ আগস্ট) সমস্যা সমাধানে একসঙ্গে আলোচনায় বসে নাটকপাড়ার তিন অভিভাবক সংগঠন টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টেলিপ্যাব), ডিরেক্টরস গিল্ড ও অভিনয় শিল্পী সংঘ।

সোমবার (১৪ আগস্ট) রাতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সভায় নেওয়া সিদ্ধান্তের কথা জানায় অভিনয়শিল্পী সংঘ। সভার এক দিন পর সোমবার রাতে সভার সিদ্ধান্ত লিখিত আকারে পাঠিয়েছে অভিনয়শিল্পী সংঘ। সেখানে চমকের শাস্তির ব্যাপারে নাট্য নির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টর’স গিল্ডের সম্মতি রয়েছে দাবি করা হলেও পাওয়া গেল ভিন্ন তথ্য।

পরিচালকরা এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত নন। ডিরেক্টর’স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সাগর এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‌আমরা এই সমাধান চাইনি। আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে ওইদিনের সভায় সেটা জানিয়ে দিয়েছি। তবুও কেন আমাদের কথা বলা হলো আমি জানি না।

তিনি বলেন, আমরা দাবি করেছি, চমককে নিষিদ্ধ করতে হবে। করতে হবে মানে করতেই হবে। আমাদের দাবি ছিল, যদি চমক পরিচালকের ক্ষতিপূরণ দেন তবে তিনি তিন মাস নিষিদ্ধ থাকবেন নাটকে। আর যদি ক্ষতিপূরণ না দেন তবে নিষিদ্ধের মেয়াদ আরও বাড়বে। কিন্তু ১৩ তারিখের সভায় চমককে নিষিদ্ধ করা হয়নি। তাই এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমরা একমত নই।

শিগগিরই বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হতে পারে বলেও জানান সাগর। তার ভাষ্য, নির্মাতারা বারবার এইসব ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাদের সুনাম নষ্ট হয়। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ার জন্যই এগুলো ঘটে। নির্মাতারা সবাই চমকের কঠিন শাস্তি চায়।

এদিকে, অভিনয়শিল্পী সংঘের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সবার বক্তব্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, অভিনেত্রী চমক গত ৪ আগস্ট নির্মাতা আদিফ হাসানের শুটিং সেটে উত্তেজিত অবস্থায় যে আচরণ করেছেন, সে কারণে শুটিং সেটে পুলিশ আসা, শুটিং বন্ধ হয়ে যাওয়া ইত্যাদি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এবং পরিচালক আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। জ্যেষ্ঠ অভিনেতা ফখরুল বাসার মাসুম ও নির্মাতা আদিফ হাসানসহ ইউনিটের সবার সঙ্গে যে আচরণ করেছেন তা অভিনেত্রী চমকের ভুল ছিল এবং পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ইন্টারভিউতে অভিনেতা আরশ খানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন হিসেবে প্রমাণিত হয়।

এরপর চমককে কিছু শর্ত দেওয়া হয়। তবে পরিচালকরা সেটার সঙ্গে কমত হতে চাইছেন না। চাইছেন অভিনেত্রী চমকের নিষিদ্ধ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৬, ২০২৩
এনএটি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।