ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

শহীদ সোহরাওয়ার্দী-ভূপেন হাজারিকার জন্ম

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৯
শহীদ সোহরাওয়ার্দী-ভূপেন হাজারিকার জন্ম শহীদ সোহরাওয়ার্দী-ভূপেন হাজারিকা

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার আশীর্বাদ-অভিশাপ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, রোববার। ২৪ ভাদ্র ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। ০৮ মহররম ১৪৪০ হিজরি। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
১৯৭৩- বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জায়ারে।
২০০১- সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশি ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুল তার অভিষেক টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে কম বয়সে সেঞ্চুরি করার রেকর্ড করেন।

জন্ম
১৫৮৮- ফরাসি ধর্মযাজক, দার্শনিক, গণিতবিদ ও সংগীতজ্ঞ মারাঁ মের্সেন।
১৭৬৭- জার্মান কবি, অনুবাদক ও সমালোচক আউগুস্ট ভিলহেল্ম ফন শ্লেগেল।
১৮৯২- বিখ্যাত বাঙালি রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।

পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে তার জন্ম। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে মওলানা ভাসানী, আবুল কাশেম (একে) ফজলুল হক ও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর গঠিত যুক্তফ্রন্ট অভূতপূর্ব জয়লাভ করে। এরপর বগুড়ার মন্ত্রিসভায় আইনমন্ত্রী নিযুক্ত হন তিনি। ১৯৫৫ সালের ১১ আগস্ট থেকে ১৯৫৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি পাকিস্তান আইনসভায় বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন। ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান প্রণয়নে তার ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। এছাড়া তিনি ১৯৫৬ সালের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ১৯৫৭ সালের ১১ অক্টোবর পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। গণতান্ত্রিক রীতি ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকায় সুধী সমাজ তাকে ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ বলে আখ্যায়িত করে। পাকিস্তান নিরাপত্তা আইনে রাষ্ট্রবিরোধী কাজের অপরাধ দেখিয়ে তাকে ১৯৬২ সালের ৩০ জানুয়ারি গ্রেফতার করা হয়। ১৯৬২ সালের ১৯ আগস্ট তিনি মুক্তি পান। স্বাস্থ্যগত কারণে ১৯৬৩ সালে দেশের বাইরে যান এবং এ বছরেরই ৫ ডিসেম্বর লেবাননের রাজধানী বৈরুতে তিনি মারা যান।

১৯২৬- কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী ভূপেন হাজারিকা।

আসামে জন্ম নেওয়া ভূপেন হাজারিকা পেয়েছেন আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা। সংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি ভূষিত হয়েছিলেন ‘পদ্মভূষণ’, ‘অসমরত্ন’, ‘দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারে’। সেরা সংগীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা তিনি অর্জন করেন। সম্প্রতি ভারত সরকার তাকে সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘ভারতরত্ন’ পুরস্কারেও ভূষিত করে। যদিও তার পরিবার আসামে নাগরিকত্ব তালিকার প্রতিবাদে পুরস্কারটি গ্রহণ করেনি।

তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘মানুষ মানুষের জন্যে’, ‘আমি এক যাযাবর’, ‘প্রতিধ্বনি শুনি’, ‘হে দোলা হে দোলা’ ও ‘চোখ ছলছল করে’। ২০১১ সালের ৫ নভেম্বর সবাইকে কাঁদিয়ে তিনি চলে যান না ফেরার দেশে।

১৯৩৩ - ভারতীয় গায়িকা আশা ভোঁসলে।

মৃত্যু
১৯৩৩- আরব বিদ্রোহের অন্যতম নেতা এবং ইরাকের প্রথম বাদশাহ প্রথম ফয়সাল।
১৯৪৩- চেক লেখক, সমালোচক, সাংবাদিক ও বামপন্থী স্বাধীনতা সংগ্রামী জুলিয়াস ফুচিক।
১৯৪৯- জার্মান সংগীতজ্ঞ রিচার্ড স্ট্রাউজ।  
১৯৬৪- জার্মান বিখ্যাত সংগীতজ্ঞ রিচার্ড ষ্ট্রোয়াচ।
১৯৬৫- নোবেলজয়ী জার্মান রসায়নবিদ হেরমান স্টাউডিংগার।

বাংলাদেশ সময়: ০০০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৯
টিএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।