ব্রাজিলের তৃতীয় বিভাগের ক্লাব সালতো এফসিতে অনুশীলনের সুযোগ পেয়েছেন বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক দলে খেলা ডিফেন্ডার নাজমুল আখন্দ। এই মৌসুমে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে খেলা এই ডিফেন্ডার তিন মাস সালতোতে অনুশীলনের সুযোগ পাচ্ছেন।
আজ ব্রাজিলের উদ্দেশে ফ্লাইট ধরছেন নাজমুল। এর আগে ২০১৯ সালে প্রথমবার সরকারি উদ্যোগে ব্রাজিলে উন্নত প্রশিক্ষণে গিয়েছিলেন নাজমুল আখন্দ।
শুরুতে সালতো ক্লাবের অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে একটি টুর্নামেন্ট খেলার কথা ছিল নাজমুলের। কিন্তু ভিসা পেতে দেরি হওয়ায় ওই টুর্নামেন্টে খেলা হচ্ছে না তার। তবে এখন গিয়ে ক্লাবটির মূল দলের সঙ্গে ট্রায়াল দেবেন তিনি। ট্রায়ালে টিকে গেলে তবেই ক্লাবটির সঙ্গে তার চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। আর টিকতে না পারলে ফিরে আসতে হবে দেশে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিেগ্রেশন শেষ করেছেন নাজমুল। বিমানবন্দর থেকে নাজমুল আখন্দ বাংলানিউজকে বলেছেন, ‘ক্লাব (মোহাডোন) থেকে দুপুরের খাবার খেয়ে বেলা আড়াইটার সময় বিমান বন্দরের উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছি। আমার সঙ্গে বাবা, মামা, কয়েকজন বন্ধু এবং আমার ফুটবলার হওয়ার অন্যতম কারিগর পীরগঞ্জ ফুটবল একাডেমির কোচ মাহমুদুল হাসান সোহেল বিমানবন্দর পর্যন্ত এসেছিলেন। আমাকে ভেতরে প্রবেশ করিয়ে তারা চলে গেছেন। ইমিগ্রেশন হয়ে গেছে। এখন বিমানের অপেক্ষায় আছি। সাড়ে নয়টায় আমার ফ্লাইট। ’
নাজমুলের এবার ব্রাজিল যাওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। বিমানভাড়ার ব্যবস্থা করতে না পারায় নাজমুলের ব্রাজিল যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল।
তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কারো সহযোগিতা না পেলে প্রয়োজনে জমি-জমা বন্ধক রেখে বিমানের টিকিটের ব্যবস্থা করে ব্রাজিলে যাবেন। তবে জমি বন্ধক রাখতে হয়নি তাকে, বিমানভাড়ার জন্য ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী নাজমুলকে দিয়েছেন ৩ লাখ টাকা।
২০২০-২১ মৌসুমে আরামবাগের কোচ হয়ে এসেছিলেন ব্রাজিলিয়ান দগলাস সিলভা সান্তোস। এই কোচের মাধ্যমেই সালতো এফসিতে ট্রায়ালের সুযোগ পেয়েছেন তিনি। ডগলাসের অধীনেই ওই মৌসুমে আরামবাগে খেলেছিলেন নাজমুল।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২৩
এআর/এমএইচএম