ঢাকা: মাদারীপুরে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেস ওয়েতে বাস দুর্ঘটনায় সর্বশেষ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আহত তিনজন ভর্তি আছেন। তারা হলেন- বুলবুল আহমেদ (৫০) ও পঙ্কজ কান্তি দাস (৫৪) ও ঝুমা বেগম (৩৪)।
ভাগিনা তুহিনুল ইসলাম জানান, আহত বুলবুলের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদরের হরিদাসপুর গ্রামে। ঢাকার দক্ষিণ বাড্ডায় একটি মেসে থাকেন এবং এনার্জি প্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডে অফিস সহকারীর চাকরি করেন। গত সোমবার (১৩ মার্চ) বাড়িতে গিয়েছিল। আজ বাড়ি থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন।
আহত পঙ্কজ কান্তি দাসের ছোট ভাই সরোজ কান্তি দাস জানান, তাদের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদরের কমিশনার রোডে। পরিবার খুলনা সদরে থাকে।
ঢাকায় তার ভাই আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের ম্যানেজার পদে কর্মরত আছেন। শুক্র ও শনিবারের ছুটি কাটিয়ে আজ (১৯ মার্চ) খুলনা থেকে ভোরে ঢাকায় আসছিলেন।
এছাড়া আহত নারী ঝুমা হাসপাতালে ২০৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি।
রোববার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে ঢামেকের একটি সূত্র জানায়, সর্বশেষ এ তিনজনই হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বাকি আহতদের ঢামেক হাসপাতাল থেকে ধারাবাহিকভাবে ধাপে ধাপে তাদের স্বজনরা উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে নিয়ে গেছেন।
ভর্তি থাকা ওই তিনজন ছাড়াও ঢামেক থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন ফয়সাল আহমেদ (৩৬), আ. হামিম (৫০), বদরুদ্দোজা (৩০), এনামুল হক (৪০) ও অমিত (২৮)।
ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ওয়ার্ড মাস্টার মো. রিয়াজ জানান, শিবচরের ঘটনায় আহত মোট ১০ জনকে এ হাসপাতালে আনা হয়। এরমধ্যে দুজন মারা গেছেন। সর্বশেষ তিনজন ভর্তি আছেন। এছাড়া বাকি ৬ জনকে স্বজনরা অন্য হাসপাতালে নিয়ে গেছেন।
উল্লেখ্য, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ইমাদ পরিবহনের ওই বাসটি বাগেরহাট, গোপালগঞ্জসহ পথিমধ্য কয়েক স্থান থেকে যাত্রী উঠায় ঢাকার উদ্দেশ্যে। বেপরোয়া গতিতে বাসটি শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় এক্সপ্রেসওয়ে থেকে ছিটকে নিচে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় বাসের ১৪ যাত্রী। শিবচর হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যায় আরও ৩ জন। এছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যায় আরও ২ জন। মোট ১৯ যাত্রী এ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২৩
এজেডএস/এমএমজেড