ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

মসজিদের বিরল উদ্যোগ, নিখরচায় চিকিৎসা পেলেন ২৬০ জন

সিনিয়র ফটো করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪
মসজিদের বিরল উদ্যোগ, নিখরচায় চিকিৎসা পেলেন ২৬০ জন ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে আসা রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন চিকিৎসক। ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: রাজধানীর মিরপুর ১৪ নম্বরের কলোনি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কর্তৃপক্ষ এলাকাবাসীর চিকিৎসাসেবায় বিরল উদ্যোগ নিয়েছে। তারা বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করেছে, যেখানে নিখরচায় চিকিৎসাসেবা পেয়েছেন ২৬০ জন।

সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এ ক্যাম্পেইন চলে বেলা ১টা পর্যন্ত। খ্যাতিমান চিকিৎসকরা এই কর্মসূচিতে রোগ নির্ণয়ের পাশাপাশি প্রেসক্রিপশন এবং স্বাস্থ্য ও পুষ্টিবিষয়ক পরামর্শ দেন।  

সকাল থেকে মিরপুর ১৪ নম্বরের ইব্রাহিমপুর-কাফরুল এলাকার সর্বস্তরের রোগীরা আসতে শুরু করেন ক্যাম্পে। তিনজন পুরুষ ডাক্তার ও একজন গাইনি বিশেষজ্ঞ ক্যাম্পে সেবা দেন রোগীদের।

আয়োজিত মেডিকেল ক্যাম্পে সেবা দেওয়া চিকিৎসক এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ক্লিনিক্যাল অ্যাসোসিয়েট ডা. মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, এ ধরনের মসজিদভিত্তিক কার্যক্রম হয় না বললেই চলে। এ কারণেই এমন অভিনব উদ্যোগে এলাকার সন্তান হিসেবে শামিল হয়েছি। অনেক ধরনের রোগী দেখেছি। এমন চমৎকার আয়োজনে অংশ নিতে পেরে ভালো লাগছে।

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কার্ডিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. আরিফুর রহমান বলেন, এলাকার সন্তান হিসেবে এমন একটি মহতী উদ্যোগে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পেরে ভালো লাগছে। সবার সম্মিলিত অংশগ্রহণে চমৎকার পরিবেশে অনুষ্ঠিত এ ক্যাম্প প্রশংসনীয়।

গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. সাকেরা আক্তার বলেন, এটা সত্যি অনন্য উদ্যোগ। ভালো লাগছে। অনেক রোগী দেখেছি। ভবিষ্যতেও এমন উদ্যোগে আসতে পারলে ভালো লাগবে।  

চিকিৎসা নিতে আসা মো. হাসান বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ এর আগে এই এলাকায় কখনো হয়নি। আমি চিকিৎসককে দেখিয়েছি। তিনি আমাকে যথাযথ চিকিৎসা দিয়েছেন।

আয়োজক কমিটির পক্ষে এ কে এম মিজানুর রহমান বলেন, কলোনি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পক্ষ থেকে এই স্বাস্থ্যসেবা ক্যম্পেইনে   দুটো বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যপরিচর্যা কেন্দ্রগুলোর সঙ্গে সেবাগ্রহীতাদের সংযোগকে নিবিড় করার ক্ষেত্রে এ ধরনের ক্যাম্পেইন বিশেষ ভূমিকা রাখে। দ্বিতীয়ত, মসজিদ শুধু ইবাদতের কেন্দ্র মনে না করে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্র হিসেবেও বিবেচিত হতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৪
জিএমএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।