রাজশাহী: রাজশাহীতে মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় করোনা টিকার বুস্টার ডোজের বিশেষ ক্যাম্পেইন কার্যক্রম। চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত।
তবে তার কতটুকু পূরণ হয়েছে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত তা জানাতে পারেনি স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। কারণ করোনা সংক্রমণ বাড়লেও আজ বুস্টার ডোজে ভিড় কম ছিল প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রেই।
এদিকে বুস্টার ডোজ দেওয়ার বিশেষ ক্যাম্পেইনে ২য় ডোজ নেওয়ার চার মাস অতিক্রম হয়েছে তারা বুস্টার ডোজ ফাইজার নিতে পারেন। ১৮ বছর বয়সের বেশি সবাইকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়।
রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সিটি করপোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ডের নিজ নিজ কার্যালয়, জেলার নয়টি উপজেলার প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকসহ মোট ২৪৪টি কেন্দ্র বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে।
সকাল ৯টায় শুরু হয়ে দুপুর ২টা পর্যন্ত প্রতিটি কেন্দ্রে ২০০ জনকে টিকা দেওয়া হয়।
যদিও সকাল থেকেই টিকা গ্রহণে মানুষের আগ্রহ ছিল কম। কোনো কেন্দ্রেই ছিল না ভিড়। তবে এখনো যারা দ্বিতীয় ডোজ নেননি, তারা সেটিও নিতে পারেন। এ পর্যন্ত জেলায় করোনা টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ৭৪ শতাংশ মানুষ। দ্বিতীয় ডোজ ৭০ শতাংশ এবং বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ২৩ শতাংশ মানুষ।
এক দিন টিকাদান কর্মসূচি চলার কথা থাকলেও প্রয়োজনে তা আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।
রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মোহাম্মদ ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, কেবলই টিকা দেওয়া কর্মসূচি শেষ হয়েছে। সব কেন্দ্রের হিসাব এখনও আসেনি। এলে বোঝা যাবে কত জন মানুষকে করোনা টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। তাই এই বিষয়টি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে কত জন আজ বুস্ট ডোজ নিয়েছে।
তবে বুস্টার ডোজের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হলে প্রয়োজনে আরও কিছুটা সময় বাড়িয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ফারুক।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২২
এসএস/আরআইএস