কলকাতা: ভারতে বন্দি প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদার ও তার সহযোগীদের মামলার গতিপ্রকৃতি অনেকটাই নির্ভর করছে বাংলাদেশের রায়ের কপির ওপর। রায়ের কপি এখনও ভারতের আদালতে এসে পৌঁছায়নি।
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) পি কে হালদারসহ ৬ অভিযুক্তকে কলকাতার ব্যাংকশাল কোর্টে তোলা হলে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন সিবিআই-১ কক্ষের বিচারক প্রসন্ন মুখোপাধ্যায়।
কেন তাদের মামলায় বিলম্ব হচ্ছে, এমন প্রশ্নের উত্তরে ইডির আইনজীবী বলেছেন, এখনও সাক্ষ্যপ্রমাণ শুরু হয়নি। চার্জশিট জমা পড়েছে। আগে ট্রায়াল শুরু হোক। বাংলাদেশে যে সাজা হয়েছে, সেই সাজার প্রতিলিপি ভারতের আদালতে এসে পৌঁছায়নি। আমরা যেটুকু খবর পেয়েছি, তাতে সাজা ঘোষণা হয়েছে, কিন্তু রায়দান এখনো সম্পূর্ণ হয়নি। সেই প্রতিলিপি না আসা পর্যন্ত, বিচারকাজে বিলম্ব হচ্ছে।
পি কে হালদারকে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে ইডির এই আইনজীবী বলেন, এটা বলার সময় এখনও হয়নি।
পাশাপাশি ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী বলেছেন, অভিযুক্তদের আইনজীবী আর্জি জানিয়ে দুটো পিটিশন করেছিলেন। তাতেও ইডির পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়েছে। সেসবের শুনানি ২৮ ফেব্রুয়ারি হবে।
গত ১৭ ফেব্রুযারি হালদার ও তার সহযোগীদের আদালতে তোলা হলে সাক্ষী অনুপস্থিত থাকায় বিচারক মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিন ধার্য করেছিলেন। ওই দিন প্রাণেশ কুমার হালদারের (পি কে হালদারের ভাই) জামিন চেয়ে আবেদন করেছিলেন তাদের আইনজীবী বিশ্বজিৎ মান্না। এছাড়াও পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদারের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় তাকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বৈদিক ভিলেজে (তার নিজস্ব বাড়ি) পাঠানোর জন্যও আদালতে একটি আবেদন করেছিলেন মান্না। তাতেই বাধা দেওয়া হয়েছে ইডির পক্ষ থেকে।
গত বছরের ৮ অক্টোবর পি কে হালদারকে দুই মামলায় ২২ বছরের কারাদণ্ড এবং অন্য ১৩ আসামিকে দুই মামলায় তিন ও চার বছর করে মোট সাত বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। কিন্তু পি কে হালদার ভারতে বন্দি থাকায় সেই রায় কার্যকর হয়নি। সেই রায়ের কপি ভারতের আদালতে এসে পৌঁছায়নি বলে জানিয়েছেন ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী।
২০২২ সালের ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার বৈদিক ভিলেজ থেকে পি কে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এরপর থেকে সেখানেই বন্দি রয়েছেন তারা। ‘প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-২০০২’ অর্থাৎ অবৈধভাবে অর্থ পাচার এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের আওতায় তাদের গ্রেপ্তার করেছিল ইডি। বর্তমানে পি কে হালদার ও তার পুরুষ সহযোগীদের রাখা হয়েছে কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে এবং নারী সহযোগী আমিনা সুলতানা আছেন কলকাতার আলিপুর সংশোধনাগারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৪
ভিএস/এমজেএফ