ঢাকা, শুক্রবার, ৫ পৌষ ১৪৩১, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

পি কে হালদারকে জামিন দিল কলকাতার আদালত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২৪
পি কে হালদারকে জামিন দিল কলকাতার আদালত পি কে হালদার

কলকাতা: বাংলাদেশ থেকে বিপুল অর্থ পাচারে অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) তিনজনকে জামিন দিলেন কলকাতার ব্যাঙ্কশাল কোর্টের অন্তর্গত নগর দায়রা আদালত।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) তারা জামিন পান।

পি কে হালদারের সঙ্গে জামিন পেয়েছেন স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপনকুমার মিস্ত্রি,  উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম কুমার মিস্ত্রি।

আদালতের আদেশ অনুসারে, অভিযুক্ত তিনজনকে ১০ লাখ রুপির বন্ড জমা দিতে হবে। এর মধ্যে ৫ লাখ রুপির লোকাল বন্ড জমা দিতে হবে।  একইসঙ্গে শর্ত দেওয়া হয়েছে, মামলা চলাকালীন তাদের আদালতে হাজিরা দিতে হবে। এমনকি রাজ্য বা দেশ ত্যাগ করা যাবে না।

এর আগে বৃহস্পতিবার মামলাটি শুনানির জন্যে আদালতে ওঠে। পি কে হালদারের জামিনের পক্ষে জোরালো বক্তব্য দেন আইনজীবী মিলন মুখার্জি।  

তিনি বলেন, আড়াই বছর হয়ে গেছে। ভারতীয় আইন অনুযায়ী, মানিলন্ডারিং মামলায় অভিযুক্তরা দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের সাত বছর জেল হতে পারে। কিন্তু তার আগে আড়াই বছর জেল হেফাজতে থাকলে তাকে জামিন দেওয়ায় কোনো সমস্যা থাকতে পারে না। তাহলে এখানে সমস্যা কোথায়? 

এর বিরোধিতা করেন ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী। দুই পক্ষের শুনানির পর বিচারক প্রশান্ত মুখোপাধ্যায় কোর্ট মুলতবি করে দেন।  

এরপর শুক্রবার বিচারক তাদের শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করেন।  ৯ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।  

গত ২৭ নভেম্বর পাঁচ লাখ রুপির বিনিময়ে জামিন পেয়েছিলেন পিকের ভাই প্রানেশ হালদার, আমিনা সুলতানা ওরফে শর্মি হালদার ও ইমন হোসেন।  

তাদের জানানো হয়েছিল, এই সময়কালে তারা ভারতের বাইরে যেতে পারবেন না এবং আদালতে প্রতিটি শুনানিতে হাজিরা দিতে হবে।  

আদালত সূত্রে জানা যাচ্ছে, সব প্রক্রিয়া শেষ হতে সময় লাগবে এক সপ্তাহ। অর্থাৎ অভিযুক্ত হালদারদের বাকি তিনজনের জেল থেকে বের হতে সময় লাগবে সাত দিনের মতো।

২০২২ সালের ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার বৈদিক ভিলেজ থেকে হালদারদের গ্রেপ্তার করে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।  

এরপর থেকে দেশটিতেই বন্দি হালদাররা। প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট-২০০২ অর্থাৎ অবৈধভাবে অর্থপাচার এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি।

পি কে হালদারসহ পাঁচ পুরুষ সহযোগীকে রাখা হয়েছিল কলকাতার প্রেসিডেন্সি জেলে। নারী সহযোগী আমিনা সুলতানা ওরফে শর্মি হালদারকে রাখা হয়েছিল কলকাতার আলিপুর সংশোধনাগারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৬ ঘণ্টা, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪
ভিএস/আরএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।