ঢাকা, শনিবার, ২০ পৌষ ১৪৩১, ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩ রজব ১৪৪৬

ভারত

বাংলাদেশিদের সঙ্গে নিয়ে নতুন বছরকে বরণ করলো কলকাতাবাসী  

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২৫
বাংলাদেশিদের সঙ্গে নিয়ে নতুন বছরকে বরণ করলো কলকাতাবাসী  

কলকাতা:  ইংরাজি নতুন বছরকে বরণ করে নিতে রাতে শত আলোয় সেজে উঠে কলকাতা। সোমবার সন্ধ্যা থেকেই (৩১ ডিসেম্বর) জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে কলকাতা।

পার্কস্ট্রিট, ভবানীপুর, টালিগঞ্চ পরিণত হয় উৎসব নগরীতে। এই উৎসব ধর্মীয় নয়, ফলে আট থেকে আশি সকলেই শহরের রাজপথে শামিল হয়েছেন। আর সেই ভিড়ে মিশে গেছেন হাতেগোনা অল্প সংখ্যক বাংলাদেশিরাও।

এমনিতে শীতের মৌসুম। শহরবাসী এখন প্রায় ঘরছাড়া। তার উপর পশ্চিমাদেশের পর্য়টকদের আগমন। সব মিলিয়ে উপেচে পড়েছে ভিড়। তাদের নিরাপত্তা দিতে ঘুম উড়েছে পুলিশের। প্রশাসনও কোমর বেঁধে নেমেছে। এদিন রঙিন আলোয় সেজে উঠে শহরের অলিগলি থেকে রাজপথ।

চিড়িয়াখানা, ভিক্টোরিয়া থেকে পার্কস্ট্রিটে শহরবাসীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আনন্দ লুটেপুটে নিচ্ছেন বাংলাদেশিরাও। কলকাতায় মিনি বাংলাদেশ বলে পরিচিত মারক্যুইস স্ট্রিট সেজে উঠে আলোয় আলোয়। ভারতীয় ভিসা না দেওয়ায় অল্প সংখ্যক বাঙালি অবস্থান করছেন সেখানে। সকলের ভিড়ে এখন থিকথিক করছে কলকাতা।

পেট্রাপোল সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বেনাপোল হয়ে ভারতে এসেছে ১২০০ বাংলাদেশি। অপরদিকে পেট্রাপোল হয়ে বাংলাদেশ গেছে ১২৪০ জন ভারতীয়। রোববার অবদি সংখ্যাটা এর আশপাশেই ছিল। ফলে বাংলাদেশির বদলে ভারতীয়রাই ভিড় জমাচ্ছেন লাল সবুজের দেশে। ফলে ভারতের কিছু গণমাধ্যমের অতিরঞ্জিত খবর এবং কিছু সমাজমাধ্যম বাদ দিলে আসলেই দুই পার যে স্বাভবাবিক তা জানান দিচ্ছে সীমান্ত পারাপারের তথ্য। এমটাই মত শহরের একাংশে।
 
বাংলাদেশিদের অভিমত, ভারতের ভিসা পাওয়া যাচ্ছে না। পুরনো ভিসা একবারে শেষের মুখে। তাই তা শেষ হওয়ার আগে একবার ঘুরে যাওয়া  কলকাতায়। তারা বলছেন, কখনই কলকাতাকে আলাদা মনে করি না। ফলে ভারত বলতেই কলকাতা তাদের কাছে প্রিয়। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকাবাসী রাসেল বলেছেন, ভারতে যা দেখি সবই সংসবাদ মাধ্যমে। বাংলাদেশ শান্ত, কলকাতায় আসার আগেও ভেবেছিলাম অনেক কিছু হতে পারে। এখন দেখছি ঢাকার মতই স্বাভবাবিক।

অপরদিকে ঢাকাবাসী মাসুদ শিকদারও ইংরাজি বছরকে বরণ করে নিতে শহরবাসীর সঙ্গে দীর্ঘ রাত ছিলেন কলকাতার রাজপথে। কলকাতার আলোকসজ্জা, জনজোয়ার আর পুলিশি নিরাপত্তা দেখে পশ্চিমা দেশের স্মৃতিচারণ করেন। কিছুটা কৌতুক স্বরে বলেন, একমাত্র কলকাতাই পারে ৫০ রুপিতে গরুর মাংস ভাত খাওয়াতে। এখানে সবকিছু সাধ্যের মধ্যে। ফলে আনন্দের ডেস্টিনেশন কলকাতার বিকল্প নেই।  

ফলে সব মিলিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেওয়ার প্রথম প্রহরের আনন্দে কলকাতাবাসীর সঙ্গে শামিল হন কলকাতায় অবস্থানরত অল্প সংখ্যক বাংলাদেশিও।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২৫
ভিএস/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।