তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ভূমিকম্প আঘাত হানা অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন। এসময় তিনি উদ্ধার তৎপরতায় কিছুটা ধীরগতির কথা নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, বিপর্যয়কর ভূমিকম্পে তাৎক্ষণিকভাবে সামাল দেওয়া অসম্ভব ছিল।
ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত তুরস্কে ১২ হাজার ৩৯১ জন মারা গেছে। সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে যে, ভূমিকম্প পরবর্তীতে উদ্ধার তৎপরতায় গাফিলতি রয়েছে।
এমন সময়েই দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি নিজ চোখে পর্যবেক্ষণে হাতায়ে শহরে যান প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান।
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে কিছু সমস্যার কথা স্বীকার করলেও সার্বিক পরিস্থিতি এখন তার সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করেন এরদোয়ান।
কিন্তু দ্বিমত পোষণ করেছেন তুরস্কের বিরোধী দলের প্রধান কামাল কিলিচদারোগ্লু। তিনি বলেন, এজন্য যদি একজন দায়ী থাকেন, তিনি এরদোয়ান।
এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে সাংবাদিকদের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান বলেন, দুর্যোগের পর ঐক্যের প্রয়োজন ছিল। এমন মুহূর্তে আমি রাজনৈতিক স্বার্থে নেতিবাচক প্রচারণা চালানো লোকদের পেটাতে পারি না।
উদ্ধারকাজে বিলম্ব হওয়ার জন্য এরদোয়ান ক্ষতিগ্রস্ত বিমানবন্দর ও রাস্তাঘাটকে দায়ী করছেন। তিনি জানান, উদ্ধারকাজ এখন স্বাভাবিকভাবেই চলছে। শুরুতে বিমানবন্দর ও সড়কে কিছু সমস্যা ছিল। কিন্তু পরিস্থিতি অনেক সহজ হয়ে এসেছে। আগামীকাল আরও সহজ হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩
এমএইচএস