তাইপেই: চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে উর্ধতন কূটনৈতিক পর্যায়ে একটি ঐতিহাসিক বাণিজ্য চুক্তি সাক্ষর হতে যাচ্ছে। ইকোনমিক কোঅপারেশন ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট নামের বহু প্রতীক্ষিত এ চুক্তিটি আগামী মঙ্গলবার স্বাক্ষরিত হবে।
চীনের জিয়ামেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তাইওয়ান রিসার্চ ইন্সটিটিউট এর অর্থনীতিবিদ ট্যাঙ ইয়ংহং বলেন, “এ চুক্তি উভয় দেশের জন্যই অসীম গুরুত্বপূর্ন। চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এ উদ্যোগের প্রভাব হবে দীর্ঘমেয়াদী। ”
তাইপেই এর ন্যাশনাল চেঙচি বিশ্ববিদ্যালয়ের চীন-তাইওয়ান সম্পর্ক বিষয়ে বিশেষজ্ঞ লিও হো-তাই বলেন, “সার্বভৌমত্বের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ন অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা। তাইওয়ানের অর্থনৈতিক অস্তিত্বই যদি টিকিয়ে রাখা না যায় তাহলে আমরা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবো কিভাবে?” তিনি আরো যোগ করেন, “তাইওয়ান যদি এখন কোন অর্থনৈতিক সংকটে পরে, কোন দেশ আমাদেরকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে না। অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী হতে পারলে আমরা অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারবো। ”
এদিকে খোদ তাইওয়ানে এ চুক্তিটি ব্যাপকভাবে বিতর্কিত। গত শনিবার রাজধানি তাইপেই’তে কয়েক হাজার বিক্ষোবকারী চুক্তি স্বাক্ষরের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ র্যালি বের করে।
এ চুক্তির আওতায় চীন ও তাইওয়ানের মধ্যকার বাণিজ্যে তাইওয়ানের ৫৩৯ টি পণ্য বিশেষ সুবিধা পাবে। অন্যদিকে চীনের অর্ধেকের ও কম পণ্য এ সুবিধা পাবে। চীনের এই স্বেচ্ছায় ত্যাগ স্বীকারকে তাইওয়ানে এ চুক্তির বিরোধীরা সন্দেহজনক বলে মন্তব্য করেছেন। অন্যদিকে গত সপ্তাহে চীনের একজন শীর্ষ আলোচক বলেন যে চুক্তির এ অসমতা তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য কারণ দুই পক্ষই আসলে ‘একই পরিবারের অংশ। ’
উল্লেখ্য, তাইওয়ানের বাণিজ্যের বড় অংশীদার চীন । গত বছর দুদেশের মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমান ছিল ৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অন্যদিকে চীনে তাইওয়ানের বিনিয়োগের পরিমাণ ১৫০ বিলিয়ন ডলারের ও বেশি।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়:১১৩৪ ঘন্টা, ২৭ জুন, ২০১০
এসআইএস/ডিসি