টরন্টো: ভারতের সঙ্গে কানাডার পরমাণু চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে গতকাল রোববার। এর মধ্য দিয়ে সন্দেহ ও অস্বস্তির অতীত পেছনে ফেলে সম্পূর্ণ নতুন দিকে মোড় নিলো দেশ দুটির সম্পর্ক।
ভারতের সঙ্গে পরমাণু জ্বালানি চুক্তি করা দেশগুলোর মধ্যে কানাডা নবম। ১৯৭০ ও ১৯৯০ এর দশকগুলোতে ভারতকে পরমাণু থেকে বিরত রাখার পক্ষে ছিলো কানাডা। নতুন এ চুক্তির ফলে দেশ দুটির দ্বীপক্ষীয় পরমাণু বাণিজ্যের দরজা খুলে গেলো। এর মধ্য দিয়ে ভারতের পরমাণু জ্বালানির বাণিজ্যে কানাডীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রবেশের রাস্তা সহজ হয়ে গেলো। আগামী ১০ বছরে ভারত এ খাতে চার হাজার কোটি মার্কিন ডলার খরচ করবে।
টরন্টোতে অনুষ্ঠিত কানাডার প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হার্পারের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাস্তবতার পরিবর্তন হচ্ছে, এটা তারই প্রতিফলন এবং এর ফলে পরমাণু জ্বালানি বিষয়ে আমাদের পারস্পরিক সহযোগিতার নতুন দরজা খুলে যাবে। ’
এর আগে, আরো আটটি দেশের সঙ্গে ভারতের বেসামরিক পরমাণু জ্বালানি চুক্তি হয়েছে। দেশগুলো হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, রাশিয়া, মঙ্গোলিয়া, কাজাখস্তান, আর্জেন্টিনা, নামিবিয়া ও ব্রিটেন।
ভারতের পরমাণু জ্বালানি বিভাগের তথ্য মতে, ছয়টি স্থানে দেশটির ১৯টি পরমাণু চুল্লি রয়েছে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নিউকিয়ার পাওয়ার কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া এগুলো পরিচালনা করে। এখান থেকে ৪,৫৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়। ভারতের পরিকল্পনা হচ্ছে, ২০২০ সালের মধ্যে বিদ্যুতের এই উৎপাদনের ক্ষমতা চার গুণ বাড়িয়ে দেওয়া অর্থাৎ ২১,১৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন করা। ভারতের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১,৫০,০০০ মেগাওয়াট।
কানাডার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো ভারতে পরমাণু জ্বালানি তৈরি করতে পারবে না। এই দায়িত্ব ভারত সরকারের। কানাডার প্রতিষ্ঠানগুলো কেবল বিভিন্ন সরঞ্জাম ও উপাদান সরবরাহ করবে। তবে এটাও অনেক বড় ব্যবসা বলে কর্মকর্তারা জানান।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১১৫৬ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১০
আরআর