কলকাতা: নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকত-উল-জেহাদ(হুজি) কলকাতার কাছে সুন্দরবনের দ্বীপগুলোর প্রত্যন্ত গ্রামে বিভিন্ন সংগঠনের নামে সংগঠিত হচ্ছে বলে খবর পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
‘স্টুডেন্ট ইমলামিক অ্যাকশান র্ফোস’, ‘মুসলিম একতা মঞ্চ’, ‘অল বেঙ্গল ইসলামিক স্টুডেন্ট কসফারেন্স’ ইত্যাদি সংগঠনের নামের আড়ালে গোপনে হুজি ও সিমির নেতারা জেহাদি প্রচার ও প্রভাব বাড়িয়ে অর্থ সংগ্রহ করছেন বলে সূত্র জানিয়েছে।
এর আগেও বাংলাদেশের সুন্দরবনের লাগায়ো এপারের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার সমুদ্র উপূকলবর্তী নামখানায় একসময় হুজি জেহাদি প্রশিণের শিবির খুলেছিল।
শিবিরটির দায়িত্বে ছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জয়নগরের হুজি নেতা জালালউদ্দিন মোল্লা ওরফে বাবুভাই। কয়েকবছর আগে উত্তরপ্রদেশের লখনউতে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন বাবুভাই।
পুলিশের জেরায় তখন বাবুভাই জানিয়েছিলেন, হুজির শীর্ষ নেতা আমির রেজা খানের নির্দেশেই ওই শিবিরটি চালু করেছিলেন তিনি।
গোয়েন্দা সূত্রগুলো জানায়, সেসময় নামখানার বাবুভাই এর শিবিরে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সাতীরা এলাকা থেকে নদীপথে মাছধরার ট্রলারে করে অস্ত্র, বিস্ফোরক ও টাকা আসত ।
হুজি এই শিবিরটিকে ট্রানজিট হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনায় থাকলেও শেষ পর্যন্ত করা নজরদারীতে তা সম্ভব হয়নি বলে দাবি করে গোয়েন্দা পুলিশ।
তাদের দাবি, শিবিরের হুজি সদস্যরা সুন্দরবন এলাকার নামখানা, কাকদ্বীপ, জয়নগর, পাথরপ্রতিমা, কুলতলি, কানিং, বাসন্তী সহ বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় নিয়ে আবার নতুন করে সংগঠনকে সক্রিয় করার উদ্যোগ নিয়েছে।
বাংলাদেশ সময় ১৫০০ ঘন্টা, জুন, ২৮, ২০১০
আরডি/এমএমকে