ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে তৃতীয় দিনের মতো সংঘাত চলছে। এরই মধ্যে ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।
রোববার লেবানন থেকে ইসরায়েলের দিকে বেশ কয়েকটি মর্টার শেল নিক্ষেপ করা হয়। এর জেরে পাল্টা গোলা নিক্ষেপ করে ইসরায়েলি বাহিনী।
সোমবার (০৯ অক্টোবর) ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে, তারা হেলিকপ্টার গানশিপ ব্যবহার করে দক্ষিণ লেবাননের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে।
দক্ষিণ লেবাননে জাতিসংঘ অন্তর্বর্তী বাহিনী (ইউএনআইএফআইএল) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করে জানিয়েছে, তারা দক্ষিণ-পশ্চিম লেবাননের আল-বুস্তানের কাছে বিস্ফোরণ শনাক্ত করেছে।
জাতিসংঘ বাহিনী ওই পোস্টে জানিয়েছে, জাতিসংঘ অন্তর্বর্তী বাহিনীর হেড অ্যান্ড ফোর্স কমান্ডার মেজর জেনারেল লাজারো জড়িত পক্ষগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, তাদের সর্বোচ্চ সংযমী হতে এবং জাতিসংঘ বাহিনীর যোগাযোগ ও সমন্বয় প্রক্রিয়াগুলিকে আরও বৃদ্ধি এবং প্রাণহানি রোধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
গত শনিবার গাজা থেকে ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। নজিরবিহীন এই হামলার দুইদিনেরও বেশি সময় পর ইসরায়েল বলছে, গাজার সঙ্গে এর সীমান্ত এখনো সম্পূর্ণভাবে নিরাপদ নয়।
তবে ইসরায়েল এটাও বলছে যে, আশপাশের যেসব অঞ্চলে হামাস হামলা চালিয়েছিল সেসব অঞ্চল তাদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। হামাসের যোদ্ধারা এসব অঞ্চলে বেসামরিকদেরও গুলি করছে বলে দেশটির অভিযোগ।
বিবিসি জানায়, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী স্বীকার করছে যে, কিছু ফিলিস্তিনি যোদ্ধা এখনও রয়ে গেছে কিংবা তাদের প্রবেশ চলমান থাকতে পারে।
এই সংঘাতে অন্তত সাতশ ইসরায়েলি ও পাঁচশ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ইসরায়েলে যুক্তরাষ্ট্রের ৯ নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। অন্যদিকে ১০ জনের বেশি ব্রিটিশ নাগরিক মারা গেছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০২৩
এমজেএফ