ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। রোববার (১৫ অক্টোবর) ইসরায়েলের একটি গ্রামে হামলাটি চালানো হয়।
হিজবুল্লাহর চালানো এ হামলা ‘সাংগঠনিকভাবে’ হলেও দখলদার ইসরায়েল দাবি করেছে এর নির্দেশদাতা ইরান। সোমবার (১৬ অক্টোবর) নিজেদের লাইভ আপডেট প্রোগ্রামে এ তথ্য জানায় কাতারের সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন। তিনি বলেন, রোববার লেবানন-ইসরায়েল সীমান্তে হামলা করতে হিজবুল্লাহকে নির্দেশ দিয়েছিল ইরান।
তার দাবি, হিজবুল্লাহ দক্ষিণ গাজায় আমাদের যুদ্ধ প্রচেষ্টাকে বিভ্রান্ত করতে ইরানের নির্দেশ ও সমর্থনে বেশ হামলা চালিয়েছে।
বলা হচ্ছে, ইসরায়েলে হামাসের হামলার পেছনেও ইরানের মদদ রয়েছে। এ দায় অস্বীকার করেছে শিয়া অধ্যুষিত দেশটি। তবে ইসরায়েলিদের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান রোববার আল জাজিরাকে বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ অব্যাহত থাকলে ‘অনেক ফ্রন্ট খোলার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। ’
এর আগেও লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহর হামলার শিকার হয় ইসরায়েল। দখলদাররাও পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল।
পশ্চিমারা মনে করে হামাসের পাশাপাশি হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েল যদি যুদ্ধে জড়ায় মধ্যপ্রাচ্যও এতে জড়িয়ে পড়বে। এতে, সমস্যা সমাধানের পথও বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
এদিকে হামাসের হামলার পরপরেই মুক্তিকামী সংগঠনটির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছিল হিজবুল্লাহ। আদৌ লেবাননের এ সংগঠনটি যদি যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েলের জন্য পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০২৩
এমজে