ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাস দাবি করেছে, তারা ইসরায়েলি বাহিনীর সামরিক অবস্থানে দুটি ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে বিবৃতি দিয়ে এ দাবি করে হামাসের আল-কাসাম ব্রিগেড।
হামাস বলেছে, দুটি হামলার একটি ছিল হ্যাটজারিম ঘাঁটিতে অবস্থিত ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর ইউনিটে; অন্যটি সিনাই বিভাগের সদর দপ্তরে অবস্থিত তসলিম সামরিক ঘাঁটিতে।
এক রেডিও বার্তায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা গাজা উপত্যকায় সীমান্তের কাছাকাছি নির ওজ ও এইন হাবেসোর দক্ষিণে সন্দেহভাজন ড্রোন অনুপ্রবেশের সতর্কতা পেয়েছিল।
এদিকে, গাজার আরেকটি মসজিদে ইসরায়েলি বিমান হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে কাতারের সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা। সোমবার (২৩ অক্টোবার) গাজার শেখ রাদওয়ানের পাড়ায় আল-নূর আল-মোহাম্মেদি মসজিদকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয় বলেও খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।
গাজার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে- গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত মোট ৩২টি মসজিদে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
ভোরে দক্ষিণ গাজার রাফাহতেও বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এ সময় সেখানকার লোকেরা ঘুমুচ্ছিলেন। বোমা হামলায় ১৮ জন নিহত হন।
এর আগে স্থলপথে ফিলিস্তিনের গাজায় অভিযান চালাতে গিয়ে ওত পেতে থাকা হামাস যোদ্ধাদের হামলার শিকার হয় ইসরায়েলের একদল সেনা। এ সময় এক ইসরায়েলি সেনা নিহত হন। আহত হন তিনজন। হামাস দাবি করেছে, তারা ইসরায়েলের একটি ট্যাংক ধ্বংস করে দিয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা জানায়, গাজা উপত্যকায় স্থল অভিযান চালাতে গেলে ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে আমাদের এক সেনা নিহত হয়েছে। হামাস যোদ্ধারা এই হামলা চালিয়েছে।
টেলিগ্রামে এ প্রতিরোধ সম্পর্কে হামাস জানায়, ইসরায়েলি বাহিনীকে পিছু হটিয়ে তাদের একটি ট্যাংক ও দুটি বুলডোজার ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২৩
এমজে