গাজার উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণে ইসরায়েলি বিমান হামলায় শিশুসহ বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি গণমাধ্যমও এ তথ্য জানিয়েছে।
রোববার হামাস নিয়ন্ত্রণাধীন গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গাজার মধ্য অঞ্চলে বুরেইজ ও নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে। এতে অন্তত ৩১ জনের প্রাণ গেছে।
ফিলিস্তিনি বার্তাসংস্থা ওয়াফা এক প্রতিবেদনে বলেছে দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে ইসরায়েলি হামলায় এক নারী ও তার শিশুর প্রাণ গেছে।
ওয়াফা প্রতিবেদনে আরও জানিয়েছে, অধিকৃত পশ্চিম তীরে অভিযান চালানোর সময় ইসরায়েলি বাহিনী দুজনকে গুলি করে হত্যা করেছে। এর মধ্যে একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী ছিলেন।
৪৬ বছর বয়সী ইসাম আল-ফায়েদ নামে ওই প্রতিবন্ধী জেনিন শরণার্থী শিবিরে গুলিতে নিহত হন। আর বেথেলহেমের দক্ষিণে ধীশেহ শরণার্থী শিবিরে ওমর লাহাম নামে ২০ বছর বয়সী এক তরুণ নিহত হন।
উত্তর গাজায় স্কুল ও শরণার্থী শিবিরে বিধ্বংসী হামলার পর এসব হত্যাকাণ্ডের খবর এলো।
শনিবার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের আল-ফাখুরা স্কুলে এক হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হন বলে জানায় সেখানকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তাল আজ-জাতারের একটি হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত হন।
আল-ফাখুরা স্কুলে হামলায় বেঁচে যাওয়া আহমেদ রাদওয়ান বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেন, আশপাশের দৃশ্য ভয়াবহ ছিল। নারী শিশুদের মরদেহ মেঝেতে পড়ে ছিল। অন্যরা সাহায্যের আকুতি জানাচ্ছিলেন।
বেনামী এক প্রত্যক্ষদর্শী আল-জাজিরাকে বলেন, মরদেহ ছড়িয়ে ছিটিতে পড়ে ছিল। কেউ তাদের সন্তানকে চিনতে পারছিলেন না। আমাদের জীবন নরক হয়ে গেছে।
আল-ফাখুরা স্কুলকে আল-শিফা হাসপাতালের সঙ্গে তুলনা করেন আল জাজিরার জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারওয়ান বিশারা। ইসরায়েল হাসপাতালটিতে বারবার হামলা চালিয়ে আসছে।
গেল ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। জবাবে গাজায় বিমান হামলা ও স্থল অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। হামলায় সাড়ে ১১ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনির প্রাণ গেছে। ৪৪ দিনে ১৫ লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২৩
আরএইচ