ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

নির্দোষ হয়েও ৪৮ বছর কেটে গেল জেলে, শেষে মুক্ত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২৩
নির্দোষ হয়েও ৪৮ বছর কেটে গেল জেলে, শেষে মুক্ত

হত্যার অপরাধ না করেও যুক্তরাষ্ট্রে এক ব্যক্তি ৪৮ বছর কারাগারে থেকে শেষ পর্যন্ত মুক্ত হয়েছেন। ওকলাহোমার এক বিচারক তাকে নির্দোষ ঘোষণা করেন।

যুক্তরাষ্ট্রে এটি সবচেয়ে দীর্ঘ ভুল সাজার ঘটনা।

কারাগার থেকে মুক্ত হওয়া ওই ব্যক্তির নাম গ্লেন সিমনস। তার বয়স ৭০ বছর। গেল জুলাইয়ে জেলা আদালত দেখতে পান, তার মামলার গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ আইনজীবীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি। পরে তিনি মুক্তি পেলেন।  

সোমবার কাউন্টি জেলা অ্যাটর্নি বলেন, নতুন ট্রায়ালের জন্য যথেষ্ট প্রমাণ ছিল না। মঙ্গলবার এক আদেশে বিচারক অ্যামি পালুমবো সিমনসকে নির্দোষ ঘোষণা করেন।

ওকলাহোমা কাউন্টি জেলা বিচারচক পালুমবো শুনানিতে বলেন, এই আদালত সুস্পষ্ট এবং দৃঢ়প্রত্যয়ী প্রমাণের মাধ্যমে খুঁজে পেয়েছে যে, যে অপরাধের জন্য সিমনসকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল, সাজা দেওয়া হয়েছিল এবং কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল... তা তিনি করেননি।

বার্তা সংস্থা এপি জানায়, রায়ের পর সিমনস সাংবাদিকদের বলেন, এটি সহনশীলতা ও দৃঢ়তার শিক্ষা।  কেউ আপনাকে বলবে এমনটি ঘটেনি, তা হতে দেবেন না, কারণ এটি সত্যিই ঘটতে পারে।

সিমনস ৪৮ বছর এক মাস ১৮ দিন সাজা ভোগ করেছেন। ১৯৭৪ সালে ওকলাহামা শহরের উপকণ্ঠে এক মদের দোকানে ডাকাতির সময় ক্যারোলিন সু রজার্স নামে এক ব্যক্তির খুনের দায়ে তাকে এ সাজা ভোগ করতে হয়।

সিমনসের বয়স তখন ছিল ২২ বছর। তার সঙ্গে ছিলেন রবার্টস নামে আরেক আসামি। ১৯৭৫ সালে তারা দোষী সাব্যস্ত হন এবং তাদের মৃত্যুদণ্ড হয়।  

মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের রুলিংয়ে সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন করা হয়। সিমনস জানান, খুনের সময় তিনি লুসিয়ানায় ছিলেন।  

ন্যাশনাল রেজিস্ট্রি অব এক্সোনারেশনস বলেছে, সিমনস ও রবার্টসকে এক কিশোরীর সাক্ষ্যের কারণে আংশিক দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল, যার মাথার পেছনে গুলি লেগেছিল। সে পুলিশের সামনে বেশ কয়েকজন ব্যক্তির দিকে ইঙ্গিত করে এবং পরে নিজের সাক্ষ্যেই বিরোধিতা করে।

২০০৮ সালে রবার্টস প্যারোলে মুক্তি পান।  

ওকলাহোমায় ভুল সাজার শিকার হয়ে কারাভোগ করা ব্যক্তিরা ক্ষতিপূরণ হিসেবে এক লাখ ৭৫ হাজার ডলার পরিমাণ অর্থ পেতে পারেন।  

সিমনস এখন লিভার ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তহবিল সংগ্রহকারী প্ল্যাটফর্ম এ তথ্য জানিয়েছে। প্ল্যাটফর্মটি তার জীবনধারণ এবং ক্যামোথেরাপির জন্য কয়েক হাজার ডলার তুলে দিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২৩
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।