আফগানিস্তানের বাঘলান ও বাদাখশান প্রদেশে বন্যায় নারী ও শিশুসহ ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার টোলো নিউজের বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রদেশের স্থানীয় কর্মকর্তাদের দাবি বন্যায় প্রায় ৫০০ বাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, বন্যার প্রভাবে ডান্ড-ই-ঘোরি, দোশি, পুল-ই-খুমরি শহর, মধ্য বাদাখশানের মোরচাক গ্রাম এবং এ প্রদেশের আরও কয়েকটি অঞ্চল তলিয়ে গেছে।
তালেবান সরকারের নিযুক্ত বাঘলান পুলিশ কমান্ডের প্রধান আবদুল গফুর খাদেম বলেছেন, গত রাতে শক্তিশালী বন্যা আঘাত হেনেছে। বাঘলান প্রদেশের দোশি জেলার লারখাব এলাকায় বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। লারখাবে তিন শিশু, একজন নারী ও দুই পুরুষসহ আনুমানিক ছয়জন মারা গেছেন এবং তিন শতাধিক ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাদাখশানের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার প্রধান মোহাম্মদ কামগার বলেছেন, বন্যার কারণে এক পরিবারের ১০ জন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন।
এদিকে, বন্যার কারণে সমস্ত জিনিসপত্র হারিয়েছে এমন বেশ কয়েকটি পরিবার ত্রাণ পৌঁছাতে দেরি করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। পরিবারগুলো তালেবান নেতৃত্বাধীন সরকার এবং সাহায্য সংস্থাগুলোর কাছে অবিলম্বে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে।
বন্যার শিকার হিজবুল্লাহ বলেছেন, বন্যা আমার পরিবারের নয়জন সদস্যকে নিয়ে গেছে। আমরা দুজনের লাশ পেয়েছি, কিন্তু বাকিরা এখনো নিখোঁজ।
আরেক বন্যার্ত জিয়াউল্লাহ বলেন, অনুরোধ আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে আছি, আফগানিস্তানের যে কোনো অংশে যা বরাদ্দ করা হোক না কেন, আমাদের ভুলে যাবেন না।
আফগানিস্তানের বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ বন্যায় গত সপ্তাহে ৩০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে। বন্যায় শতাধিক আবাসিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং হাজার হাজার একর কৃষি জমি নষ্ট হয়েছে।
এদিকে খামা প্রেস রিপোর্ট করেছে, আফগানিস্তানের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে ভারী বন্যা আঘাত হানার পর, বিশ্ব খাদ্য সংস্থা ১২ মে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। কিন্তু বেশিরভাগ বন্যা-আক্রান্ত এলাকায় ট্রাকসহ যানবাহন চলাচলের অযোগ্য থাকায় তা ব্যাহত হচ্ছে।
সূত্র: এনডিটিভি
বাংলাদেশ সময়: ১২২১ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২৪
জেএইচ