ওয়াশিংটন: যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আইন সংস্কারকে সমর্থন করার জন্য বিরোধীদলীয় রিপাবলিকানদের প্রতি আহ্বান জানান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনের আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
এদিকে, রিপাবলিকান দল ওবামার এ বক্তব্যের সমালোচনায় জানায়, এটি একটি নৈরাশ্যবাদী রাজনৈতিক উচ্চাকাক্সা।
উল্লেখ্য, ক্ষমতায় আসার পর অভিবাসন বিষয়ে ওবামার এটিই প্রথম ভাষণ। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় এক কোটি ১০ লাখ অবৈধ অভিবাসী রয়েছে।
ওবামার ক্ষমতা গ্রহণের ১৮ মাস পার হলো। এর মধ্যে বার বার তিনি একটি সমন্বিত অভিবাসন সংস্কার আইনের পক্ষে লড়াইয়ের ব্যাপারে দৃঢ় অঙ্গীকার করেন। তবে এ বিষয়ে এবারই প্রথম সংস্কারের পক্ষে বিস্ততৃ দিকগুলো তুলে ধরেন ওবামা।
এ অচলাবস্থা নিরসনে নতুন কোনো পদক্ষেপের প্রস্তাব করেননি ওবামা। একইসঙ্গে এই কাজের জন্য নির্দিষ্ট সময়সূচিও নির্ধারণ করেননি।
কিছু রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক আশা করছেন, নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগেই অভিবাসন সংস্কার আইন পাস হবে। একইসঙ্গে অনেকে সন্দেহ করেন, ডেমোক্রাটিকদের একটি গুরুত্বপূর্ণ আসনে হিস্পানিক (স্প্যনিশভাষী জনগোষ্ঠী) ভোটারদের সমর্থন পেতে এটি একটি রাজনৈতিক চাল।
বক্তৃতায় ওবামা বলেন, ‘কার এদেশে প্রবেশের অনুমতি আছে আর কার নেই এবং কোন শর্তে প্রবেশ করছে এই রাজনীতি সবসময়ই বিতর্কিত। ’
তিনি আরও বলেন, ‘একই সত্য আজকেও বিরাজ করছে এবং একটি নড়বড়ে অভিবাসন পদ্ধতি ঠিকঠাক করতে না পারার ব্যর্থতা ওয়াশিংটনের আমাদেরই কারও। ’
ওবামা বলেন, ‘আমি সামনে এগিয়ে যেতে প্রস্তুত। সংখ্যাগরিষ্ঠ ডেমোক্রেটরা এগিয়ে যেতে প্রস্তুত। আমি বিশ্বাস করি, যুক্তরাষ্ট্রের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষও সামনে এগিয়ে যেতে প্রস্তুত। তবে দ্বিদলীয় সমর্থন ছাড়া এই সমস্যার সমাধান আমরা করতে পারব না। ’
এদিকে, রাজনৈতিক এ বেহাল দশার জন্য ওবামাকে দায়ী করে রিপাবলিকান সিনেটর অরিন হ্যাচ বলেন, ‘বামপন্থী ভিতকে কাজে লাগিয়ে প্রেসিডেন্টের অভিবাসন আইনের সংস্কার পক্ষে আহ্বান জানানো একটি নৈরাশ্যবাদী রাজনৈতিক অভিলাষ ছাড়া বেশি কিছু নয়’
হ্যাচ আরও বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক খেলা বন্ধ করে প্রশাসনের বরং মার্কিন নাগরিকদের ইচ্ছার কথা শোনা এবং সীমান্তে নিরাপত্তায় মনোযোগ দেওয়া উচিৎ। ’
উল্লেখ্য, চলতি বছর ডেমোক্রেটরা সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠাতা নির্ধারণকারী ৬০টি ভোট হারালে এ মুহূর্তে যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ আইন পাসের ব্যাপারে রিপাবলিকানদের সমর্থনের প্রয়োজন।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১০