কলকাতা: জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে সোমবার কংগ্রেসবিরোধী রাজনৈতিকদলের ডাকা ১২ ঘণ্টার ভারত বনধে জনজীবন অচল হয়ে পড়ে। এসময় বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন বহু শীর্ষ নেতা।
সোমবার সকাল থেকেই ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির জনজীবন অচল হয়ে পড়ে। এসময় রাস্তায় কোনো যানবাহন চলাচল করেনি।
বিভিন্ন শহরে অবরোধ ও বনধের সমর্থনে মিছিল করার জন্য কয়েক হাজার বনধ সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়।
লখ্নৌতে বিজেপির মুখপাত্র অরুণ জেটলি, অন্দ্রপ্রদেশে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু গ্রেপ্তার হয়েছেন। এছাড়া বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে সকালে গ্রেপ্তার হন সিপিআই সম্পাদক এভি বর্ধন, সাংসদ ডি রাজা, সিপিএম নেত্রী বৃন্দা কারাতসহ অসংখ্য বামপন্থি কর্মী।
বনধের প্রভাব অন্য রাজ্যগুলোতেও পড়ে। মুম্বাই, চেন্নাই, ব্যাঙ্গালোরসহ সব কটি প্রধান শহরের রাস্তা ছিল ফাঁকা। বড় স্টেশনগুলোতে দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল করেনি। বনধের সময় বিমান চলাচলও বন্ধ ছিল।
কলকাতাসহ রাজ্যের সর্বত্র বনধ শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনগুলোর যাত্রীদের খাবার ও পানি বিতরণ করে বাম সমর্থকরা। কলকাতার সল্টলেকের আইটি বিভাগ বনধের বাইরে থাকলেও যানবাহন না থাকায় সেখানে উপস্থিতির সংখ্যা কম ছিল।
পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরে-১ বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন থাকায় সেখানে বনধ পালিত হয়নি।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১০