ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙলে ইসরায়েলই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে: বিশ্লেষণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩২ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০১০
তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙলে ইসরায়েলই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে: বিশ্লেষণ

জেরুজালেম: সাবেক কৌশলগত বন্ধু দেশ তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হলে ইসরায়েলেরই বেশি ক্ষতি হবে। বিশ্লেষকদের মতে, গত ৩১ মে গাজামুখী ত্রাণবহরে হামলার ঘটনায় ইসরায়েল ক্ষমা চাইতে অস্বীকার করায় এ ক্ষতি পোহাতে হবে দেশটিকে।



‘দ্য টার্কিশ-ইসরায়েলি রিলেশনশিপ: চেঞ্জিং টাইস অফ মিডল ইস্টার্ন আউটসাইডার্স’ বইটির লেখিকা ও ইসরায়েলি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ওফ্রা বেনজিও বলেন, “দড়ি টানাটানির লড়াইয়ে তুরস্কের চেয়ে ইসরায়েলেরই ক্ষতি হবে বেশি। তুরস্ক ন্যাটো’র সদস্য এবং মুসলিম দেশগুলির সঙ্গে এর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। দেশটি সহজেই আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করতে পারে। এ অঞ্চলে আমরা একটি ছোট্ট ও বিচ্ছিন্ন দেশ। ”

গত ৩১ মে তুরস্কের একটি ত্রাণবাহী নৌবহরে ইসরায়েলি কমান্ডোদের হামলায় তুরষ্কের নাগরিক হতাহতের ঘটনার পর দেশ দুটির মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে তুরস্ক বার বার ইসরায়েলের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থণা, ক্ষতিপূরণ ও আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছে।

গত সোমবার তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আহমেত দাভুতোগলু এক বক্তব্যে দুদেশের মধ্যকার সম্পর্ক বিচ্ছেদের বিষয়ে সতর্ক করে দেন।

এদিকে, ইসরায়েল এ সংঘর্ষকে আত্মরক্ষার চেষ্টা ছিল বলে দাবি করে জানায়, তারা কখনোই এজন্য ক্ষমা চাইবে না।

এদিকে তুরস্ক ইতিমধ্যেই তার আকাশসীমা ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর চলাচলের জন্য নিষিদ্ধ করে দিয়েছে। দাভুতোগলু জানান, শীঘ্রই ইসরায়েলের বেসামরিক বিমান চলাচলও নিষিদ্ধ করে দেওয়া হবে।

১৯৯৬ সালে তুরস্ক-ইসরায়েল এর মধ্যে একটি সামরিক সহযোগিতা বিষয়ক চুক্তি হয়েছিল। সে চুক্তি অনুযায়ী, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী তুরস্কের সেনা বাহিনীর কাছে এম ৬০ ট্যাঙ্ক, এফ ৪ এবং এফ ৫ জঙ্গি জেট বিমান বিক্রি করতে পারতো। এক সময় দেশ দুটির মধ্যে যৌথ সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হতো। সামরিক মহড়ার জন্য তুরস্কের ভূখণ্ড ব্যবহারের অনুমতিও ছিল ইসরায়েলের।

ইসরায়েলি লেখিকা বেনজিও বলেন, “তুরস্কই একমাত্র মুসলিম দেশ যার সঙ্গে আমাদের কৌশলগত সামরিক সম্পর্ক ছিল। যদিও আঙ্কারা কখনোই ইরান আক্রমণের জন্য তাদের আকাশসীমা ব্যবহারের অনুমতি দেয়নি ইসরায়েলকে। ”

আরেক সামরিক বিশ্লেষক আমির রাপাপোর্ট বলেন, “সবচেয়ে ক্ষতির দিকটা হলো, ইসরায়েলের দূর-পাল্লার হামলার অনুশীলন আর করা সম্ভব হবে না। ”

রাজনৈতিক বিশ্লেষক এফ্রাইম ইনবার জানাচ্ছেন, “বন্ধুপ্রতীম তুরস্ককে হারানো অনেক বড় ক্ষতি। মধ্যপ্রাচ্যে বিশাল প্রভাব থাকার কারণে তুরস্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ। ”

বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ০৯০৪ ঘণ্টা, জুলাই, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।