কাঠমাণ্ডু: নেপালের পার্লামেন্ট সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন। তিন সপ্তাহ ধরে চলা রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণে তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ওই অধিবেশনে নেপালের মাওবাদীরা পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে যাওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে যাচ্ছে। ২০০৮ সালে দেশটির রাজনীতিতে এসে নির্বাচনে জয় লাভ করে মাওবাদীদের দল। এর আগে তারা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ১০ বছরব্যাপী লড়াই করে। মাওবাদীরা জানায়, পার্লামেন্টে একক বৃহত্তম দল হিসেবে তাদেরই উচিৎ সরকার পরিচালনা করা।
২০০৮ সালে নির্বাচিত হবার পর প্রচণ্ড নামে পরিচিত পুষ্প কমল দহল তাঁর দলের পক্ষ থেকে নয় মাস নেপালের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তৎকালীন সেনাপ্রধানকে বরখাস্তের ঘটনায় বিতর্ক উঠলে তিনি ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ান।
বর্তমানে নেপালের দ্বিতীয় বড় দল নেপালি কংগ্রেসের ভাইস চেয়ারম্যান রাম চন্দ্র পাওদেল এবং নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির (ইউএমএল) প্রবীণ নেতা ঝালা নাথ খানাল প্রচণ্ডের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।
বিশ্লেষকদের মতে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রচণ্ডকে লড়াই করতে হবে। কারণ অন্য দলগুলো তাদের সমর্থন করা থেকে পিছিয়ে আসছে। মাওবাদীদের নিজেদের গড়া সেনাক্যাম্প ভেঙে ফেলা ও গৃহযুদ্ধের চলাকালীন জব্দ করা সম্পত্তি ফিরিয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার না করলে ওই দলগুলোর সমর্থন হারাবে তারা।
এদিকে, তিন জনের মধ্যে খানালের সম্ভাবনাই বেশি বলে মনে করছেন অনেকে। কেননা, মাওবাদীদের সমর্থনে ইউএমএল এর সঙ্গে নতুন বামপন্থী জোট গঠন করার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনয়নপত্র পূরণের পর প্রচণ্ড সাংবাদিকদের বলেন, “শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমি সমর্থন লাভের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাবো। ”
এদিকে, বুধবার স্থানীয় সময় বেলা এগারোটায় শুরু হতে যাওয়া অসমাপ্ত পার্লামেন্ট অধিবেশন থেকেও ফলাফল বেরিয়ে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জুন মাওবাদীদের দাবির মুখে প্রধানমন্ত্রী মাধব কুমার নেপাল পদত্যাগ করেন। এরপর থেকে মূল নেতৃত্ব ছাড়াই চলছে দেশটি।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৩৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১০