ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

অনলাইন অ্যাক্টিভিজম: তিউনিসিয়া, মিশর...

রানা রায়হান, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১১
অনলাইন অ্যাক্টিভিজম: তিউনিসিয়া, মিশর...

কায়রো: তিউনিসিয়া থেকে মিশর--আরব বিশ্বের সর্বত্রই এখন ইন্টারনেটের জয়জয়কার। বিক্ষোভকারীরা ইমেইল, ফেসবুক, টুইটারের মাধ্যমে আন্দোলনের বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন।



মিশরে পাঁচ দিন ধরে চলা বিক্ষোভে অনলাইন অ্যাক্টিভিজম অর্থাৎ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট বিক্ষোভকারীদের নিজেদের যোগাযোগের অন্যতম হাতিয়ারের কাজ করেছে। আর এ ভয়ে দেশটির সরকার এসব ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিয়েছে।

তবে এ পদক্ষেপ নিতে দেরি হয়ে গেছে। এর আগেই বিক্ষোভকারীরা নিজেদের সংগঠিত করে দেশব্যাপী আন্দোলনের দামামা ছড়িয়ে দিয়েছেন।

শুক্রবারের বিক্ষোভের বার্তা আন্দোলনের কর্মীরা অনলাইনের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। বার্তায় কোথায় জড়ো হবে থেকে শুরু আন্দোলনের বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়। শুক্রবার সকালেই টুইটার ও ফেসবুকের মাধ্যমে বিক্ষোভের তৎপরতা সম্পর্কে জানানো হয়।

টুইটারের একজন ব্যবহারকারী তার অ্যাকাউন্টে মন্তব্য করে, ‘কায়রোর মনোবল এখনো অনেক উচ্চে। ৬০ ও ৭০ দশকের অ্যাক্টিভিস্টরা তাদের নিজেদের মতো করে সমন্বয় করার চেষ্টার করছেন। ’ টুইটারে আরেক জন মন্তব্য করে, মিশরের আন্দোলন শুরু হয়েছে মসজিদ ও গির্জা থেকে।

ইন্টারনেট বন্ধ হওয়ার আগে, অ্যাক্টিভিস্টরা দেশের ভেতরে সামাজিক ওয়েবসাইটগুলো ব্যবহার করেছে। তাদের বার্তাগুলো অন্য দেশগুলোতেও পাঠানো হয়।

তিউনিসিয়ার বিক্ষোভকারীরাও একইভাবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে আন্দোলন সংগঠিত করেছে। এতে এমনকি বলা হয়েছে, পুলিশ টিয়ারগ্যাস ছুড়ে মারলে মুখে কোকাকোলা পানীয় ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া কেউ গ্রেপ্তার হলে জরুরি নম্বর দেওয়া হয়েছে। আর এ বিক্ষোভের মুখে দেশটির দীর্ঘদিনের স্বৈরাশাসক বেন আলি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।

টুইটারের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান থেকে তুরস্কের প্রবাসীসহ বিদেশিরা তাদের সমর্থন জানিয়েছে। তাকামিত নামের একজন জাপানি টুইটারে তার সংহতি ও সমর্থন জানান।   তিনি লেখেন, ‘বিপ্লব ছাড়া, গণতন্ত্র নেই। ইন্টারনেট ছাড়া স্বাধীনতা নেই। ’

কয়েকজন টুইটারে লেখেন, সরকার ইন্টারনেট নিষিদ্ধ করলে কিভাবে প্রক্সি সার্ভার (বিকল্প সার্ভার) ব্যবহার করা যায়। মিশরের বিক্ষোভকারীরা তাদের নাগরিকদের উদ্দেশে সরকারের বিরুদ্ধে লেখালেখি করতে বলে।

আলি হাবিব নামের একজন টুইটার ব্যবহারী লেখেন, ‘আপনি যুক্তরাষ্ট্রে থাকলে, কংগ্রেসের প্রতিনিধি সভার সদস্যদের বলুন যাতে ইন্টারনেট ও মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু করতে তারা উদ্যোগ নেয়। ’

বিদেশ থেকে অনেকেই এগিয়ে এসে বলেছেন, ‘সামাজিট ওয়েবসাইট বন্ধ হয়ে গেলে আমাকে ইমেল করুন। আমি সেই বার্তা ছড়িয়ে দেব। ’

মিশরে ‘এপ্রিল ৬’ নামের একটি তরুণ সম্প্রদায় ২০ হাজার লিফলেট বিলি করে। লিফলেটে মূলত কোথায় যেতে হবে,সঙ্গে  কি নিতে হবে এসব বিষয়ে লেখা হয়। তরুণরা আহ্বান জানায়, সরকারি হস্তক্ষেপ এড়াতে তারা যেন লিফলেটের এসব তথ্য ইমেইলে পাঠায়, ছড়িয়ে দেয়। আলজাজিরা অবলম্বনে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।