ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

এরপর কি সিরিয়া?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১১
এরপর কি সিরিয়া?

কায়রো: তিউনিসিয়ার যে বিক্ষোভে দেশটির সরকারের পতন হয়, তা পরবর্তীতে ছড়িয়ে পড়ে আলজেরিয়া, জর্দান, ইয়েমেন, সুদান এবং মিশরে। আর এখন হয়তো তা ছড়িয়ে পড়তে যাচ্ছে সিরিয়ায়।



সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শাসনের প্রতিবাদে শনিবার দেশটি জনবিক্ষোভের সূচনা হয়।

এক্ষেত্রেও ফেসবুকই জনগণকে একত্রিত করতে সাহায্য করে। যা পরবর্তীতে দামেস্ক, অ্যালেপো ও অন্যান্য শহরে বিক্ষোভের সূচনা করে।

মূলত উন্নত জীবনযাপন, মানবাধিকারের উন্নয়ন এবং তরুণদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর দাবিতেই সিরিয়ায় বিক্ষোভের শুরু হয়েছে বলে মধ্যপ্রাচ্যের গণমাধ্যম গবেষণা প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে। ওয়াশিংটন ভিত্তিক এ প্রতিষ্ঠানটি সংবাদ গবেষণা, অনুবাদ ও এর সামাজিক প্রভাব বিশ্লেষণ করে থাকে।

কিন্তু বিক্ষোভে কত প্রতিবাদকারী অংশ নিয়েছেন এ বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয়। তবে এরইমধ্যে কয়েক হাজার মানুষ সামাজিক যোগাযোগের নেটওয়ার্ক ফেসবুকে এ বিক্ষোভে সমর্থন জানিয়েছেন। এর মধ্যে সন্দেহাতীতভাবে অনেকে দেশের বাইরের বলে গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি উল্লেখ করে।

রোববার সিরিয়ার খার্তুম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্লোগানে বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিকে না বলো’, ‘দুর্নীতিকে না বলো’, ‘তিউনিসিয়া, মিশর ও সুদান: আমরা এক দেহে এক প্রাণ। ’

বিক্ষোভকারীরা ফেসবুকে লিখেন, ‘সুদানের জনগণ আর নিশ্চুপ থাকবেনা। এখনই আমাদের অধিকার আদায়ের সময় যাতে কোনো স্যাবোটাজ থাকবেনা। ’

‘আমরা দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, দুর্নীতি, বেকারত্ব এবং নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা, তাদের সব কিছু থেকে দমিয়ে রাখা এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার অপব্যবহারের মতো সরকারের সব খারাপ কাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছি। ’

এ বিক্ষোভের পর ৭০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পুলিশ ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করেছেন বলে সুদানের ট্রিবিউন সংবাদপত্র সূত্রে জানা যায়। তারপরও ফেসবুকের মধ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার ইয়েমেনে বিক্ষোভের আহ্বান জানানো হয়েছে।     

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।