আম্মান: সপ্তাহব্যাপী বিক্ষোভের পর মঙ্গলবার জর্দানের সরকারকে বরখাস্ত করেছেন দেশটির রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ। তবে প্রধানমন্ত্রী পদে নতুন নিয়োগ ক্ষমতাশীল বিরোধী মুসলিমদের সংস্কারের দাবিকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি।
নতুন প্রধানমন্ত্রী পদে সামির রিফাইয়ের স্থলাষিভিক্ত হবেন মারুফ বাকহিত। একে রাজপ্রাসাদ থেকে ‘সত্যিকার রাজনৈতিক সংস্কার’ বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। কিন্তু বাদশাহ সংস্কারপন্থী নন বলে এর সমালোচনা করেছেন ইসলামপন্থীরা।
প্রাসাদ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সত্যিকার রাজনৈতিক সংস্কারের জন্য বাকহিত বাস্তবসম্মত, দ্রুত এবং সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেবেন। মূলত জর্ডানে গণতান্ত্রিক সংস্কার ও সব জর্ডানবাসীর নিরাপদ ও যথোপযুক্ত জীবনযাপন নিশ্চিত করতেই এসব পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ’
কিন্তু এ বিষয়ে ইসলামিক অ্যাকশন ফ্রন্টের (আইএএফ) এক নেতা জাকি বানি রাশিদ বলেন, ‘বাকহিত সংস্কারপন্থী নন। ২০০৭ সালে তিনি জর্ডানে সবচেয়ে বাজে সংসদীয় নির্বাচনের আয়োজন করেন। বর্তমান রাষ্ট্র পরিচালনা ও সংকট থেকে জর্ডানকে উদ্ধারের ক্ষেত্রে তিনি সঠিক ব্যক্তি নন। ’
‘আমরা এমন কাউকে চাই যার প্রতি জনগণের শ্রদ্ধা আছে এবং যার দুর্নীতি ও দমনপীড়নের কোনো ইতিহাস নেই। বাকহিত কিভাবে রাচনৈতিক সংস্কারে নেতৃত্ব দিতে পারেন?’
২০০৭ সালের নির্বাচন প্রতারণামূলক ছিলো বলে ইসলামপন্থীরা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন।
তারা রাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন বলে সোমবার ইসলামপন্থীরা জানিয়েছিলেন। এ সময় তারা মিশরের মতো জর্দানের শাসনব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন চাননা বলেও উল্লেখ করেন।
তারা শুধু সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনী আইনের সংশোধন এবং র্নিবাচিত কার্যকর প্রধানমন্ত্রী চান বলে তখন বার্তাসংস্থা এএফপিকে বানি রাশিদ বলেছিলেন।
একইসঙ্গে সরকার প্রধান হিসেবে রাজার ক্ষমতা হ্রাস করতে তারা সাংবিধানিক সংস্কার চান বলেও ইসলামপন্থীরা উল্লেখ করেন। সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠের মধ্য থেকে নেতা নির্বাচন করে তাকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করা উচিত বলেও দাবি করে তারা। ১৯৫২ সালে গৃহীত সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ ও বরখাস্ত করার ক্ষমতার রাজা অর্জন করেন।
সম্প্রতি জর্দানের জনগণের জীবনযাত্রার মান্নোয়নে সরকার দেশের অর্থনীতি থেকে ৫ হাজার লাখ ডলার আয় করলেও আম্মানসহ দেশের বেশ কয়েকটি শহরে গত তিন সপ্তাহ ধরে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ প্রতিবাদ দানা বেঁধে উঠে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১১