ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

অস্ট্রেলিয়ায় ‘ইয়াসি’র আঘাত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১১
অস্ট্রেলিয়ায় ‘ইয়াসি’র আঘাত

সিডনি: অস্ট্রেলীয় উপকূলে আঘাত হেনেছে ভয়াবহ গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসি। ঝড়ো বাতাসসহ সর্বোচ্চ মাত্রার এ ঘূর্ণিঝড়টি স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে উপকূলে আঘাত হানে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়।

বাতাসের বেগ কয়েক ঘণ্টার জন্য আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইয়াসি নামের ভয়াবহ এ ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলের ইনিসফেইল থেকে কার্ডেল অতিক্রম করা শুরু করেছে। এসময় দক্ষিণে ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্রে সমুদ্রে উঁচু ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। ’

পাঁচ মাত্রার এ ঘূর্ণিঝড়টি মাঝরাতের আগেই অস্ট্রেলিয়ার মিশন বিচের বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্রে আঘাত হানে। এসময় ঘূর্ণিঝড়টিতে বাতাসের গতিবেগ ছিলো ঘণ্টায় ২৯০ কিলোমিটার এবং এ ঝড়ো বাতাস আরও চার ঘণ্টা স্থায়ী হবে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়।    
তবে বৃহস্পতিবার পুরো দিন উপকূল থেকে ৯০০ কিলোমিটার পশ্চিমের ইসা পর্বতে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১২৫ থেকে ৯০ কিলোমিটার থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে প্রধান কৃষি ও পর্যটন এলাকায় ৭০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতেরও পূর্বাভাস দেওয়া হয়।
ঘূর্ণিঝড় যে এলাকার উপর দিয়ে যাবে সেসব এলাকার প্রায় ১০ লাখ জনগণের দুর্ভোগের বিষয়ে সতর্ক করে দেন কুইন্সল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অ্যানা ব্লিহ। কেননা এরইমধ্যে ঝড়ো বাতাসে প্রধান প্রধান শহরগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়াসহ গাছ ভেঙ্গে পড়েছে এবং ঘরের ছাদ উড়ে যেতে দেখা গেছে।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ ঘূর্ণিঘড়ের সঙ্গে আগের আর কোনো ঝড়ের তুলনা চলেনা। ’
১৯১৮ সালের পর এবারই অস্ট্রেলিয়ায় পাঁচ মাত্রার কোনো ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে এবং এটা দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ ঝড় হতে যাচ্ছে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সমুদ্র তীরবর্তী ১০ হাজার বাসিন্দা ও পর্যটককে এরইমধ্যে ২০টি আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেখানে স্থানসংকুলান না হওয়ায় অনেককে ফিরে যেতে হচ্ছে। এছাড়াও আরও হাজার হাজার মানুষ পরিবার-বন্ধুদের সঙ্গে এখনও বাড়িতেই অবস্থান করছেন।
ঘূর্ণিঝড় সরে যাওয়ার পর বাসিন্দাদের সাহায্যে এরইমধ্যে ৪ হাজার সেনা সদস্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তবে এর আগ পর্যন্ত সেনা নিয়োগ দেওয়া বিপদজনক বলে বাসিন্দাদের নিজ প্রচেষ্টায় নিরাপদে থাাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ইতিহাসের ভয়াবহ এ ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ড বলেন, ‘এটা সম্ভবত আমাদের দেশের সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় হতে যাচ্ছে। ’
তবে অনেক দীর্ঘসময় ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে যাওয়া কুইন্সল্যান্ডের অধিবাসীদের কথা তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।
এনজে বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।