ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ভুয়া এনকাউন্টার

সাত ভারতীয় সেনার যাবজ্জীবন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৪
সাত ভারতীয় সেনার যাবজ্জীবন

ঢাকা: ২০১০ সালের ৩০ এপ্রিল শাহজাদ আহমেদ খান, মোহাম্মদ শাফি লোন ও রিয়াজ আহমেদ লোন নামের ৩ ব্যক্তিকে সেনাবাহিনীতে কুলির কাজ দেওয়ার লোভ দেখায়  কিছু ব্যক্তি।

জম্মু কাশ্মীরের বারামুলা জেলার সোপোরের বাসিন্দা এই তিনজনকে কাজের জন্য মোটা টাকার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়।



কিন্তু কুপওয়ারার মাছিল পৌঁছাবার পর তাদের তুলে দেয়া হয় সেনাবাহিনীর হাতে। ‘জঙ্গি’ আখ্যা দিয়ে মিথ্যে এনকাউন্টারে তাদের ঠাণ্ডা মাথায় খুন করে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারতীয় সেনাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে ওঠে জম্মু-কাশ্মীর। সেনার সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে প্রাণ হারান ১২০ জন।

অবশেষে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্তের ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ।

পাশাপাশি সোপোরের স্থানীয় আদালতে পুলিস স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মিথ্যা এনকাউন্টারের অভিযোগে ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। অভিযুক্তদের মধ্যে ছিলেন তিন জন  সেনা কর্মকর্তা। তারা হলেন, ৪-রাজপুত রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার কর্নেল ডিকে পাঠানিয়া, মেজর মোরিয়া ও মেজর উপিন্দর।

অবশেষে তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় কর্নেল পাঠানিয়া ও মেজর উপিন্দর সহ সাত ভারতীয় সেনাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় ভারতীয় সেনা আদালত। এছাড়া দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন আরও তিন জন। তাদের মধ্যে একজন আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য এবং অপর দুই জন বেসামরিক নাগরিক।

দণ্ড প্রাপ্ত সেনা সদস্যদের সব ধরনের সার্ভিস বেনিফিট থেকেও বঞ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।