ঢাকা: সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সংক্রান্ত মামলা পরিচালনার জন্য বিশেষ আদালত করতে যাচ্ছে পাকিস্তান সরকার, যার নেতৃত্বে থাকবে দেশটির সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
গত সপ্তাহে পেশোয়ারে সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত স্কুলে তালেবান হামলায় ১৩২ শিশুসহ ১৪৯ জন নিহতের পর এ উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে পাকিস্তান সরকার।
টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে এ ঘোষণা দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ।
তিনি বলেন, দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বিশেষ আদালতটি পরিচালিত হবে।
আদালতটি কিভাবে কাজ করবে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরে নওয়াজ শরীফ বলেন, আগামী দুই বছর সেনাবাহিনী আদালতটি পরিচালনা করবে।
নওয়াজ শরীফ বলেন, পেশোয়ারের ঘটনা জাতিকে মর্মাহত করেছে। আমরা শিশুদের রক্ত বৃথা হয়ে যেতে দেবোনা। এ মুহূর্তে আমরা যদি কোনো ব্যবস্থা নিতে না পারি তবে, ইতিহাস কখনোই আমাদের ক্ষমা করবেনা।
পাকিস্তানের মাটি ব্যবহার করে কেউ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাবে তা হতে দেওয়া হবেনা বলেও ভাষণে উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে সন্ত্রাস দমনে জাতীয় অ্যাকশন প্ল্যান তৈরির বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলেন নওয়াজ শরীফ। এ বিষয়ে দলগুলো সম্মতি দিয়েছে বলে জানান তিনি।
গত ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের পেশোয়ারে সামরিক বাহিনী পরিচালিত একটি স্কুলে বর্বর জঙ্গি হামলায় ১৩২ শিশুসহ অন্তত ১৪৯ জন নিহত হয়। হামলার দায় স্বীকার করে তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা (সেনাবাহিনী) যেভাবে আমাদের সন্তান-পরিবারের ওপর হামলা চালিয়েছে, আমরাও তাদের সন্তান-পরিবারের ওপর হামলা চালিয়েছি। এখন প্রিয়জন বিয়োগের ব্যথা তারাও বুঝুক।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৪