নাম: হামাস
বার্ষিক লেনদেন: একশ’ কোটি মার্কিন ডলার।
অঞ্চল: ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর ও গাজা ভূখণ্ড।
আয়ের উৎস: কর, আর্থিক সহায়তা ও অনুদান (বিশেষত কাতার থেকে)।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য: ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম করে ভূ-মধ্য সাগর ও জর্দান নদীর তীর ঘেষেঁ স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গড়ে তোলা।
২০০৭ সালে সশস্ত্র অভ্যুত্থান ঘটিয়ে গাজার দখল নেওয়ার পরই হামাস বিশ্বব্যাপী পরিচিত হয়ে ওঠে। ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের অর্থনীতির ১৫ শতাংশই এখন হামাসের নিয়ন্ত্রণে। এর মধ্যে আয় কর, পণ্যের ওপর শুল্কসহ খাবার পরিবহন তথাপি গাজা অঞ্চলের যেকোনো রাজস্ব আয় রামাল্লার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে যাওয়ার পরিবর্তে এখন হামাসের পকেটে যায়।
পশ্চিমারা হামাসকে মিশর সীমান্ত দিয়ে চোরাচালানের জন্য অভিযুক্ত করলেও বাস্তবে সংগঠনটির এরকমের তৎপরতা নেই। তাছাড়া, সহায়তা বা অনুদানেই হামাসের অর্থনীতি মুখাপেক্ষী নয়, বরং বিভিন্ন রকমের কর আদায় করেই সংগঠনটির অর্থনীতির গতি টিকে আছে। হামাস মুদ্রা পরিবর্তন (মানি চেঞ্জার) প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর বিশেষ কর বসিয়ে বছরে কোটি ডলারেরও বেশি আয় করে।
গাজার আবাসন ব্যবসা, ইনস্যুরেন্স, ব্যাংকিং, হোটেল ও পর্যটন, মৎস আহরণ ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে হামাসই। হামাসের নিজস্ব আয় অর্ধশত কোটি ডলার হলেও বাকি অর্ধশত কোটি আসে কাতারসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে। এর মধ্যে কাতারের কাছ থেকেই অর্থ বেশি পায় ইসরায়েলবিরোধী সংগঠনটি।
জানুন তৃতীয় ধনাঢ্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তথ্য:
বছরে ৬০ কোটি ডলার লেনদেন ফার্কের
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৪