নাম: আল-কায়েদা
বার্ষিক লেনদেন: ১৫ কোটি ডলার
অর্থের উৎস: অর্থনৈতিক সহায়তা ও অনুদান, অপহরণ ও মুক্তিপণ এবং মাদক পাচার।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য: বিশ্বব্যাপী খ্রিস্টান ও ইহুদীদের সঙ্গে জিহাদ এবং পশ্চিমা-ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির বিরুদ্ধে সুসংগঠিত ইসলামিক জোট গঠন।
আল কায়েদা বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক সন্ত্রাসী সংগঠন। এর ঘৃণিত তৎপরতাই ইসলাম সম্পর্কে পশ্চিমা বিশ্বে বিরূপ ধারণার জন্ম দেয়।
সৌদি আরবের এক ধনাঢ্য বাবার সন্তান ওসামা বিন লাদেনের হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত হয় আল-কায়েদা। তালেবানের সহযোগিতায় সৌদি ও আরব আমিরাতের ধনকুবের মহলের আর্থিক সহায়তায় অল্প দিনেই আল-কায়েদাকে স্বচ্ছল করে তোলেন বিন লাদেন।
বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন, দাতব্য প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ওয়েবসাইট, ব্যাংক ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় বিন লাদেন আল-কায়েদাকে কোটি ডলারেরও বেশি সম্পদের মালিক সংগঠনে পরিণত করেন। ৯/১১-এর আগ পর্যন্ত আল-কায়েদার বার্ষিক অর্থপ্রবাহ ছিল ৩ কোটি ডলারেরও বেশি।
তবে, পেন্টাগন টুইন টাওয়ারে হামলা করে যুদ্ধ ঘোষণার পর আল-কায়েদার অর্থপ্রবাহে ধস নামে।
আফগানিস্তান-পাকিস্তানের পাহাড়ি এলাকাভিত্তিক হলেও বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে আছে আল কায়েদার নেটওয়ার্ক। যেমন আলজেরিয়া, মরক্কো, লিবিয়া, মৌরতানিয়া, মালি, নাইজার, নাইজেরিয়া ও চাদে আল-কায়েদা মাঘরেব নামে এর সহযোগী সংগঠন রয়েছে। তেমনি রয়েছে ইয়েমেন, সৌদি আরব, ইরাক , সিরিয়া অঞ্চলে। এমনকি শীর্ষ সন্ত্রাসী সংগঠন আইএস’র জন্ম এই আল-কায়েদা থেকেই।
আল-কায়েদা এখন ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে, তেমনি দুর্বল হয়ে গেছে এর অর্থনৈতিক ভিতও। কেন্দ্রীয় আল-কায়েদা এখন চলছে তার ধনী সহযোগী সংগঠন মাঘরেবের সহযোগিতায়। এছাড়া, অপহরণ ও মুক্তিপণ এর আয়ের অন্যতম উৎস, যা থেকে সংগঠনটি কোটি ডলারেরও বেশি আয় করে। লাতিন আমেরিকা থেকে ইউরোপে মাদক পাচারেও সহযোগিতা করে অর্থ আয় করে আল-কায়েদা।
জানুন সপ্তম ধনাঢ্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তথ্য:
বছরে ১০ কোটি ডলার লেনদেন লস্কর-ই-তৈয়্যবার
বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৪