ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

আদালত উপেক্ষা

ইন্ডিয়া’জ ডটার এখন ইউটিউবে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১২ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০১৫
ইন্ডিয়া’জ ডটার এখন ইউটিউবে

ঢাকা: দিল্লিতে চলন্ত বাসে জ্যোতি সিং নামে এক তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুকেশ সিংয়ের ইন্টারভিউভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র ‘নির্ভয়া, ইন্ডিয়া’জ ডটার’ প্রচার এবং প্রকাশে দিল্লি আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এখন তা ইউটিউবে পাওয়া যাচ্ছে।

এর আগে দিল্লি ইউটিউব কর্তৃপক্ষকে এ প্রামাণ্যচিত্রটি প্রচার না করার জন্য অনুরোধ জানালে কর্তৃপক্ষ তা প্রচার করেনি।

কিন্তু ৪ মার্চ বিবিসি ফোর চ্যানেলে এটি প্রচারের পর বৃহস্পতিবার (০৫ মার্চ) রাত থেকে এটি ইউটিউবে পাওয়া যাচ্ছে।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আগামী ৮ মার্চ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ সাতটি দেশে ইসরাইল বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ চিত্রনির্মাতা লেসলী উডউইন (Leslee Udwin)নির্মিত এই প্রামাণ্যচিত্রটি প্রচার করার কথা রয়েছে। এটি এনডিটিভিতেও প্রচার করার কথা ছিল। প্রচারের খবর জানার পর ভারত সরকার ভিক্টিম পরিবারের সদস্যদের মনে আঘাত লাগাসহ নৈতিক দিক তুলে ধরে এটি প্রচার না করতে অনুরোধ জানায়।

কিন্তু নির্মাতা প্রামাণ্যচিত্রটি প্রচারে অনড় থাকায় আদালতের শরণাপন্ন হয় ভারত সরকার। এরপরই আদালত ‘নির্ভয়া, ইন্ডিয়া’জ ডটার’ প্রচার ও প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

বৃহস্পতিবার (০৫ মার্চ) দ্য রিয়াল ফিয়ারলেস ইন্ডিয়ানস নামে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ৫৯ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডের ‘ইন্ডিয়া’স ডটার’ শীর্ষক এই ডকুমেন্টারিটি পোস্ট করা হয় ইউটিউবে।

বুধবার (০৪ মার্চ) রাতে যুক্তরাজ্যে বিবিসি ফোরে মানুষের ‘অতি আগ্রহের’ কারণে প্রচার করা হয় প্রামাণ্যচিত্রটি। এছাড়া অনলাইনেও ‘ইন্ডিয়া’স ডটার’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে প্রকাশ করা হয়।

একইদিন বিবিসির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘নির্ভয়া, ইন্ডিয়া’জ ডটার’ নামে ওই প্রামাণ্যচিত্রটি আগামী রোববার (০৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবসের রাতে ভারত, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে এবং কানাডাসহ সাতটি দেশে প্রচার করা হবে।

বিবৃতিতে বিবিসি আরো জানায়, এই মর্মভেদী প্রামাণ্যচিত্রটি ধর্ষিতার পরিবারের সমর্থন এবং সহায়তাতেই নির্মিত হয়েছে। এই ইন্টারভিউতে সেই অপরাধটির ভেতরের দৃশ্য ফুটে উঠেছে, যা বিশ্বব্যাপী নিন্দা আর সমালোচনার ঝড় তোলে সে সময় (২০১২ সাল)। সেই সঙ্গে এই ঘটনা ওই সময় ভারতে নারীর প্রতি আচরণ পরিবর্তনে এক বিপ্লব সৃষ্টি করে।

২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে একটি চলন্ত বাসে ধর্ষণের শিকার হয়ে নিহত হন ২৩ বছর বয়সী এক প্যারামেডিকেল ছাত্রী জ্যোতি সিং। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয় পাঁচজনের বিরুদ্ধে। বিচারে চারজনের মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।

এই সাজাপ্রাপ্তদেরই একজন মুকেশ সিং। তিনি ওই বাসটির চালক।

সম্প্রতি, ব্রিটিশ চলচ্চিত্র পরিচালক লেসলী উডউইন দিল্লির অদূরে তিহার কারাগারে বন্দি মুকেশের সাক্ষাৎকার নেন। ওই সাক্ষাৎকারে মুকেশ এ ধরনের ঘৃণ্য কাজে জড়িত থাকার ব্যাপারে কোনো অনুশোচনা না দেখিয়ে উল্টো ধর্ষিতাকেই দোষারোপ করেন। তিনি বলেন, মেয়েটি তার সঙ্গে ধ্বস্তাধ্বস্তি না করলে তাকে হত্যা করা হতো না। এ ছাড়া মেয়ের রাতে বাড়ির বাইরে আসার ফলেই তারা ধর্ষিত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০১৫

** নির্ভয়া ধর্ষকের ইন্টারভিউ প্রচার বিবিসি’র

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।