ঢাকা: পাঞ্জাবের উত্তরাঞ্চলীয় পাঠানকোটে বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে ফের গুলির আওয়াজ পাওয়া গেছে। হামলাকারী বন্দুকধারীদের সঙ্গে ভারতীয় বাহিনীর গুলি বিনিময় থেমে যাওয়ার প্রায় এক ঘণ্টা পর এ গুলির আওয়াজ পাওয়া যায়।
শনিবার (০২ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় বেলা পৌনে ১১টার দিকে (বাংলাদেশ সময় বেলা সোয়া ১১টা) দ্বিতীয় দফার এ গুলির আওয়াজ পাওয়া যায়। এর আগে একইদিন স্থানীয় সময় ভোররাত সাড়ে তিনটার (বাংলাদেশ সময় ভোররাত ৪টা) দিকে একদল বন্দুকধারী এ বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায়।
সূত্রের বরাত দিয়ে স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যম বলছে, শুক্রবার (০১ জানুয়ারি) পাঠানকোটে গুরুদাসপুর পুলিশ সুপারের গাড়ি ছিনতাই করে সেনা পোশাকধারী একদল দুর্বৃত্ত। ওই গাড়িতে চড়েই বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা।
ধারণা করা হচ্ছে, পাকিস্তানভিত্তিক সংগঠন জেইশ-ই-মোহম্মদের (জেইএম) সদস্যরা এ হামলা চালিয়ে থাকতে পারে। কারণ ওই পুলিশ সুপারের গাড়ি ছিনতাইয়ের সময় তার মোবাইল ফোনও ছিনতাই করে দুর্বৃত্তরা। পরবর্তী সময়ে সেই ফোন থেকে পাকিস্তানে যোগাযোগ করা হয় বলে জানানো হয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে।
এদিকে, ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী পাঠানকোট ও এর আশেপাশের এলাকায় ‘হাই অ্যালার্ট’ জারি করেছে এবং সেই সঙ্গে পাঞ্জাব ও ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। সেই সঙ্গে পাঠানকোট ও কাশ্মীরের সংযোগকারী মহাসড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হঠাৎ পাকিস্তান সফরের কয়েকদিনের মধ্যেই এ ঘটনা ঘটলো। গত ২৫ ডিসেম্বর তিনি কয়েক ঘণ্টার পাকিস্তান সফরে যান।
হামলার ব্যাপারে ভারতের কেন্দ্র সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, পাকিস্তান প্রতিবেশি রাষ্ট্র। আমরা তাদের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়েও আগ্রহী। কিন্তু ভারতের ওপর কোনো হামলার চেষ্টা করা হলে তার সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০১৫
আরএইচ
** থেমে গেছে গুলি বিনিময়, চলছে চিরুনি অভিযান
** পাঞ্জাবে বিমানঘাঁটিতে বন্দুকধারীর হামলা, নিহত ৬